চোর ও ডাকাতের উৎপাতে অতীষ্ট কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকার মানুষ। বিশেষ করে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার ও মোটরসাইকেল চোরদের কারণে নাজেহাল জনসাধারণের। 

তবে অভিযোগ ছিলো- এতসব ঘটনার পরও পুলিশের ভূমিকা ছিলো প্রশ্নবিদ্ধ। অবশেষে সরকারি ৩টি মোটরসাইকেল চুরির পর টনক নড়ে পুলিশের। অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। 


জানা যায়, সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের কোয়ার্টার থেকে ২টিসহ এক রাতে ৩টি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এর মধ্যে একটি সরকারি মোটরসাইকেল। যা ব্যবহার করতেন বিআরডিবি’র উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. শাহ আলম।

গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে তার ব্যবহৃত টিভিএস কোম্পানির ১২৫ সিসির মোটরসাইকেলটি কোয়ার্টারের গেইটের থালা ভেঙে নিয়ে যায়। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বিভিন্ন জায়গায় চলে পুলিশের সাড়াশি অভিযান।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুলিশের অভিযানে একাধিক মাদক ও ডাকাতি মামলার ২ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় কোম্পানীগঞ্জ থানাপুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার বুড়দেও গ্রামের ইছাক আলীর ছেলে পুত্র নজির আহমদ (৩০) ও কোম্পানীগঞ্জ গ্রামের হাসাব আলীর পুত্র মখতাছির আলী (৩০)। তাদেরকে উপজেলার দলইরগাঁও থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ২৭ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্ব নেওয়অ হিল্লোল রায় বলেন, আমি যোগদানের পরই চুরি ও ডাকাতি বন্ধে সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। সন্দেহবাজনদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  আইনশৃংখলার উন্নতি ও চুরি ডাকাতি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

তিনি জানান, এরই মধ্যে একাধিক মামলার ২ আসামিকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / জলিল / ডালিম