ফাইল ছবি
অতীত ভোলানোর লক্ষ্য সিলেটের সামনে। বিপিএলে যে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি কখনও ফাইনালে খেলেনি। তবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে টসভাগ্যে হারের পর ম্যাচের ভাগ্যের পাল্লাটাও ইমরুল কায়েসদের দিকে। প্রথম কোয়ালিফায়ারের ম্যাচে খেলতে নেমে মাত্র ১৬ রানেই তারা হারিয়ে ফেলে তিন টপ অর্ডারকে।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেট স্ট্রাইকার্স এদিন উদ্বোধনীতে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে পাঠিয়েছিল আফগান ব্যাটসম্যান শফিকুল্লাহ জাফরিকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও যার পা পড়েনি। তবে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে আস্থার প্রতিদান সেভাবে দিতে পারেননি তিনি। ফিরে গেছেন ৫ বলে ৫ রান করে। আন্দ্রে রাসেলের বলে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি।
তিনে নেমেছিলেন তৌহিদ হৃদয়। টুর্নামেন্টজুড়ে ছিল তার ব্যাটে দ্যুতি। তবে আজ তিনিও চাপ সামলাতে পারেননি। ফিরে যান রানের খাতা খোলার আগেই। আন্দ্রে রাসেলের বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে তানভির ইসলামের থ্রোয়ে রানআউট হন হৃদয়।
এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সিলেট। সেই চাপ আরও বাড়ে। পরের ওভারের শেষ বলে মঈন আলির শিকারে জাকির হাসান শিকার হলে। সুনীল নারিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। এদিন তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২ রান।
চাপ সামলাতে তাই নিজের ব্যাটিং পজিশনে পরিবর্তন করে পাঁচে উঠে আসেন অধিনায়ক মাশরাফী বিবন মোর্ত্তজা। শান্তর সঙ্গে সামলেছেন পাওয়ার প্লে। গড়েছেন ২৭ রানের জুটি। তার ব্যাটে দুটি চারসহ ৭ বলে এসেছে ১০ রান। অন্যপ্রান্তে শান্ত অপরাজিত আছেন ১৭ বলে ২৫ রান করে। তার ব্যাট থেকে আসে তিনটি চার ও একটি ছক্কা।
৬ ওভার শেষে সিলেট স্ট্রাইকার্স করেছে ৪৩ রান।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-১১