বগুড়ায় উপহার হিসেবে পাওয়া হিরো আলমের গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তরের কাজ চলছে। গাড়িটি দুদিন আগে বগুড়া শহরের বকশিবাজার এলাকার ‘ডিবিআর অটোমেটিভ কমপ্লিট অটো সেন্টার’ নামের একটি ওয়ার্কশপে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করতে সময় লাগবে প্রায় ২০ দিন। আর ১০ বছর আগে ফিটনেস নষ্ট হওয়া এ গাড়ি ঠিক করতে কমপক্ষে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার প্রয়োজন হবে।


তবে ওয়ার্কশপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা গাড়িটিকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করে হিরো আলমকে দেবে।

ওয়ার্কশপে গিয়ে দেখা যায়, গাড়ির বডির অবস্থা একেবারেই বেহাল। ভেতরের অবস্থাও ভালো নয়। সিটগুলো ছিঁড়ে ফোম বের হয়েছে। গাড়িটি রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি হিরো আলমকে উপহার হিসেবে টয়োটা নোয়াহ ১৯৯৮ মডেলের গাড়িটি দেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের নরপতি গ্রামের শিক্ষক মুখলিছুর রহমান। গাড়িটি পাওয়ার পরপরই সেটিকে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তরের ঘোষণা দেন হিরো আলম। তিনি গাড়িটি নিয়ে আসার পর জানতে পারেন, গাড়িটির ট্যাক্স দেওয়া হয়েছে সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ। ওই বছরের ১৫ জুলাই গাড়ির ফিটনেসের মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়েছে। এ কারণে গাড়িটি রাস্তায় নামাতে হলে হিরো আলমকে দিতে হবে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা।

ডিবিআর অটোমেটিভ কমপ্লিট অটো সেন্টারের ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, ‘হিরো আলম যখন গাড়িটিকে জনগণের জন্য অ্যাম্বুলেন্স বানানোর কথা জানান, তখনই গাড়িটি আমাদের ওয়ার্কশপে মেরামত করার পরিকল্পনা করি। এরপর মোবাইল ফোনে হিরো আলমকে বিষয়টি জানাই। তিনিও অনেক খুশি হয়ে আমার প্রস্তাবটি মেনে নেন। গাড়িটি এখন আমাদের ওয়ার্কশপে আছে। গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করতে ২০ দিনের মতো সময় লাগবে। কারণ, গাড়িটি অনেক পুরোনো, অনেক কাজ করতে হবে। ডেন্টিং করতে হবে, পেইন্ট করতে হবে, ভেতরের আসনগুলো অপসারণ করে অ্যাম্বুলেন্সের সিট বসাতে হবে, অক্সিজেন সিলিন্ডার বসাতে হবে, সাইরেন বসাতে হবে, চাকাগুলো পরিবর্তন করতে হবে।’

গাড়িটি মেরামতে কত টাকা খরচ পড়তে পারে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কমপক্ষে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। এই টাকা আমরাই দেব। এতে আমারও জনহিতকর কাজে অবদান রাখা হবে।’

হিরো আলমকে উপহার দেওয়া গাড়ির বকেয়া সাড়ে ৫ লাখ টাকা, মালিক অন্যজন এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘এটি খুব আনন্দের বিষয় যে, ওয়ার্কশপের মালিকরা আমাকে সহযোগিতা করছেন। তবে ট্যাক্সের টাকার বিষয়ে এখনো বিআরটিএতে যোগাযোগ করা হয়নি। যোগাযোগ করে কিছু টাকা কমানোর জন্য অনুরোধ করব।‘

চলাচলের অযোগ্য গাড়ি উপহার দেওয়া নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন হিরো আলম।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/ইআ-০৫