হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে কাকাইলছেও ইউনিয়নের ঘরদাইর গ্রামে আবাদযোগ্য কৃষি জমির সুরক্ষা আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে শেলো ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে এ ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য শামীম মিয়ার বিরুদ্ধে। উত্তোলনকৃত বালু অপর একটি ফসলি জমিতে ভরাটের কাজও চলছে একই সঙ্গে। এতে ফসলি জমির পরিমাণ হ্রাসের পাশাপাশি পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
সাবেক ইউপি সদস্য শামীম মিয়া এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না স্থানীয় কৃষকরা।
শামীম মিয়ার দাবী প্রশাসনের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে জমি থেকে বালু উত্তোলন করে অপর একটি জমিতে ভিটা তৈরি করছেন তিনি।
স্থানীয় প্রশাসন বলছেন,জমির শ্রেণীর পরিবর্তন করে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের জন্য কাউকে মৌখিক কিংবা লিখিত কোন রকমের অনুমতিই দেয়া হয়নি।
আর স্থানীয়রা বলছেন, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে আশেপাশের ফসলি জমি ভেঙ্গে পড়বে।
সরজমিনে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ঘরদাইর কান্দাহাঠি গ্রাম সংলগ্ন সড়কের পাশে গিয়ে দেখা যায় কৃষি জমিতে শ্যেলো মেশিন বসিয়ে চলছে অবাধে বালু উত্তোলন। আবার সেই উত্তোলনকৃত বালু দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার দুরে ফসলি জমি ভরাট করে চলছে ইউপি সদস্য শামীম মিয়ার ভিটে তৈরির কাজ ।
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের ড্রেজার মালিক হান্নান মিয়া বলেন, শামীম মিয়ার নিকট থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ৫ টাকা দরে প্রতি ঘনফুট বালু উত্তোলনের চুক্তি করেছেন তিনি। ভিটে ভরাট করতে প্রায় পাঁচ লাখ ঘনফুট বালু লাগবে। এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বনি আমিন খাঁন বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শফিকুল ইসলাম বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন করার জন্য কাউকে কোন রকমের অনুমতি দেয়া হয়নি।গতকাল তহসিলদারকে পাঠিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। যদি পুনরায় কেউ বালু উত্তোলন করে তবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / মিলাদ / ডি.আর