পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ ভয়ংকর হয়ে উঠছে অ্যাডিনো ভাইরাস। সংক্রমণের সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত রবিবারে ড. বি সি রায় মেমোরিয়াল হাসপাতালে শ্বাসকষ্টে ৬ শিশুর মৃত্যুর পর আতঙ্কের আরেক নাম অ্যাডিনো। 
 

জানা গেছে, গত ৯ দিনে এই হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট ও কোমর্বিডিতে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। এর মধ্যে কত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর। সবমিলিয়ে বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ৪২ এ পৌঁছেছে। যদিও সোমবার বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত ১৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসে, বাকি ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে কোমর্বিডিটির কারণে।  


সরকারি হোক বা বেসরকারি- প্রতিটি হাসপাতালেই শিশু বিভাগের একটি বেডও খালি নেই। ফলে নতুন করে সংক্রমিত হয়ে যারা হাসপাতালে পরিষেবার জন্য আসছে, তাদের বাবা-মা'রা পড়েছেন গভীর বিপাকে। ২ বছরের নিচের শিশুদেরই এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। 
এদিকে অ্যাডিনো ভাইরাস থাবা বসিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পরিবারে। সোমবার নিজেই এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও তার পরিবারের কোন সদস্যের শরীরে এই ভাইরাস ধরা পড়েছে তা স্পষ্ট করে জানাননি তিনি। 

মমতা বলেন, আমার পরিবারের সদস্যরাও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আমি এইসব বলে বেড়াই না। বলা হচ্ছে 'সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ) ইউনিট' নেই। কিন্তু সিপিএমের আমলে জিরো ছিল। কিন্তু এখন ১৩৮টি হাসপাতালে ২৪৮৬ টি এসএনসিইউ রয়েছে।

কোভিডের সময় সামান্য অসুখেই আমরা এখন ভয় পাই, কারণ সে সময় আমরা আমাদের আপনজনদের হারিয়েছিলাম। এমনকি আমার নিজের ভাইকে হারিয়েছি। সে সময় রাজ্যের যা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ছিল তা থেকে পরিষেবা আরো বাড়ানো হয়েছে।'  

সেই সাথে এই ভাইরাস নিয়ে আরো বেশি করে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ও আরো বেশি সতর্ক থাকতে আরজি জানিয়েছেন তিনি। 

তিনি বলেন, বাচ্চাদের আমি খুব ভালোবাসি। যাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হয় তাই সকলকে আবার মাস্ক পড়া উচিত। বাবা মায়েরাও যেন আতঙ্কিত না হন। জ্বর, কাশি হলে তারা যেন স্থানীয় হাসপাতাল বা চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করেন।
 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-৭