জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে (জেসিপিএসসি) যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়। 


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেসিপিএসসির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ মাওলা ডন, এএফডব্লিউসি, পিএসসি । আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. কুদ্দুসুর রহমান, পিএসসি, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।
 


৭ মার্চ ২০২৩ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পাবলিক স্পিকিং প্রতিযোগিতার  মধ্য দিয়ে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস-২০২৩’  এর অনুষ্ঠান শুরু হয়। সকাল ১১টায় প্রতিষ্ঠানের মাল্টিপারপাস হলে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, ৭ মার্চের ভাষণের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, শিক্ষার্থীর ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন, বিজয়ী পাবলিক স্পিকিং উপস্থাপন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এছাড়া উপর্যুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়া পাঠ,  কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, হাতের নান্দনিক লেখা প্রতিযোগিতা এবং রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি সকল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপনকারী শিক্ষার্থীকে বিশেষ পুরস্কারও প্রদান করেন ।


আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহান মাহদী । একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বৃষ্টি দেব ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনিন্দ্য কুন্ড  এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী স্বর্ণাভ তালুকদার রাজ ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিরা সাদেক প্রিয়া।

প্রধান অতিথি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন তেজস্বী, প্রজ্ঞাবান ও দুরদৃষ্টিসম্পন্ন কুশলী রাজনীতিবিদ। তাই ৭ মার্চের ভাষণে একদিকে যেমন স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানিদের সঙ্গে আলোচনার পথ উন্মুক্ত রাখলেন। বলা চলে শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের চূড়ান্ত মানচিত্র ।’

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতির মুক্তি, অন্যায় শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রাম করে গেছেন। তোমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর এমন আদর্শে উজ্জীবিত হতে হবে। তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তোমাদেরকে হতে হবে সুশিক্ষিত, সুদক্ষ, সুনাগরিক, মানবিক এবং সৃজনশীল মানুষ । আজকের দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের দিকনির্দেশনা ও উপাধ্যক্ষ মো. আবদুল হান্নান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জ্যেষ্ঠ প্রভাষক আব্দুন নূর ও সদস্য ছিলেন শিক্ষকবৃন্দ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ইআ-০৩