ছবিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে তুলেছিলাম। অবাক বিস্ময়ে থাকিয়ে অনেক্ষণ দেখেছিলাম বিশ্বের সুশীত নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের কন্ঠস্বর, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী,আমাদের বাঙ্গালী জাতির জনক মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ১০৩-তম জন্মদিন আজ।
আমি এই মহান নেতাকে জেনেছি উনার নিজের লেখা ৩টি বই "অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়াচীন" থেকে।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আমাদের গ্রামে এসেছিলেন মহান নেতা বঙ্গবন্ধু, এলাকার মুরব্বিদের কাছ থেকে উচু লম্বা সুঠাম দেহের জীবন্ত বঙ্গবন্ধু কে স্বচক্ষের দেখার ঘটনাগুলো শুনি। আনন্দিত হই সেইসাথে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করি।
১৯২০ সালের আজকের দিনে একটি অজপাড়াগাঁয় জন্মগ্রহণ করে একটি দেশের জন্ম দিয়ে গেছেন! জীবনের প্রতিটি সময় আমৃত্যু মানুষের জন্যই কাজ করে গিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুকে কেউ তৈরি করে দেয় নাই বরং উনি নিজেই তৈরী হয়েই নির্দিষ্ট জীবন পরিকল্পনায় একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫-ই আগষ্টের কালরাত্রির অনেক আগে থেকেই বঙ্গবন্ধু জানতেন উনাকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা হচ্ছে!! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে চলতে থাকা ষড়যন্ত্রের কথা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং বা ‘র’ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের আগে অন্তত দুবার বঙ্গবন্ধুকে জানিয়ে দিয়েচছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু একটুও বিচলিত কিংবা প্রতিশোধ পরায়ণ হন নাই!! যে ব্যাক্তি একাই পাকিস্তান রাষ্ট্রের সাথেসাথে বিশ্বের পরাক্রমশালী রাষ্ট্র আমেরিকা - চীন ও আরব বিশ্ব সহ পরাশক্তিদের নাকানিচুাবানী দিয়ে একটা রাষ্ট্র তৈরি করে ফেলেন সম্পূর্ণ পরিকল্পনামাফিক তাকে আবার এইসব জুজুর ভয়! ১৯৭৫ সালের ১৫- আগষ্টের নির্মমতায় অভিশপ্ত বাঙ্গালী জাতিগত ভাবেই বিশ্বাসঘাতক হিসাবে বিশ্বের কাছে পরিচিত পেয়েছিলো!
বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্মৃতি দেশরত্ন শেখ হাসিনার অসীম সাহসীক নেতৃত্ব স্বচক্ষে দেখার পরেও যে বা যারা এখনো ঘোরের মধ্যে আছেন তারা এইভাবেই থাকেন!! কাজ-কর্ম করেন, ঘুমান-খান তাতেই আপনার ও দেশের মঙ্গল।
যদি কখনো সময় হয় বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজেদ লেখা ৩টি বই "অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়াচীন" পড়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে মিলিয়ে নিয়েন!! আপনার বাপ দাদার সাথেসাথে বিশ্বের পরাক্রমশালীরাও ঠক্কর দিয়ে পারে নাই শেষে ঘৃণ্য পথ বেচে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে আর এখন আপনি বা আপনারা আশা করেন বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে জুজুর ভয় দেখিয়ে থামাবেন! ৭৫ এর নির্মমতার শোক সহ্য করে দেশ গঠনে মাঠে নামা বঙ্গবন্ধু কন্যার আশপাশের ১৪ সীমায়ও খন্দকার মোশতাক সৃষ্টি হওয়ার মতো সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা বন্ধ রয়েছে, বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র ঘরে বসে করলেও এখন শুরুতেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়, দেশের তরুণ ও যুব সমাজ এখন ইউরোপ আমেরিকার মতোই শিক্ষিত হয়ে কাজেকর্মে চিন্তা চেতনায় আদর্শেই সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করার জন্য তৈরী হয়ে উঠছে। একটা সময় যে শ্রেণীর পেশার মানুষ ঘরে টিভি রাখা ও দেখাকে হারাম বলে মানুষের ব্রেইনওয়াশ করত তাদের হাতের মধ্যে এখন মোবাইলের মাধ্যমে TV উঠে এসেছে। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার সক্ষমতা বঙ্গবন্ধু কন্যা এখন তৈরি করে দিয়েছেন, আপনি এই পথে না চলে পিছিয়ে সেই পুরনো যুগের চিন্তাভাবনা নিয়ে এই দেশের বোজা হয়ে বাস করছেন কী না সেইটা নিজেই চিন্তা করুন!
আজকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন। মাত্র ৫৫ বছর বেঁচে ছিলেন (১৯২০-১৯৭৫) বঙ্গবন্ধু। এই বয়সে দেশ গড়ে দিয়েছেন আর আমি আপনি এই বয়সে কী করছি কোথায় আছি কেমন আছি চিন্তা করেছেন কখনো?
আসুন বঙ্গবন্ধুর ১০৩-তম জন্মদিনে প্রতিজ্ঞা করি নিজেকে তৈরি করে আমরাও মহান কোন স্মৃতি রেখে যাব নশ্বর এই পৃথিবীর বুকে।
শুভ জন্মদিন পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম মহান নেতৃত্ব, বিশ্বের সুশীত নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের কন্ঠস্বর, বাংলা ও বাঙ্গালীর পরিচয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
লেখক - শেখ ইয়াহইয়া
কর্মী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।