রবিবার দিনভর বৃষ্টি হলেও সোমবার (২০ মার্চ) সেটি ছিল না। অবশেষে সিলেটে নামল বৃষ্টি। বাংলাদেশ ইনিংসের শেষের পর উইকেট ঢেকে দেওয়া হয়েছে কাভারে। যদিও ঝুম বৃষ্টি হলেও তোপ খুব একটা বেশি নয়।

এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ৩৪৯ রান। 


শেষ ওভারে প্রথমবারের মতো যখন স্ট্রাইক প্রান মুশফিক, ৫৬ বলে তাঁর রান ৯১। সে বলে ডাবলসের পর গ্রাহাম হিউমকে রিভার্স স্কুপে চার মেরে সেঞ্চুরিকে এনেছিলেন এক শটের দূরত্বে। পরের বলে ওয়াইড লং অনে খেলে আবার ডাবলসে মুশফিক চলে যান ৯৯ রানে। শেষ বলে মিডউইকেটে খেলে সিঙ্গেল নিয়ে মুশফিক মেতেছেন উল্লাসে, যে উল্লাস রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরির। ৬০ বলেই সেঞ্চুরি পেলেন মুশফিক, বাংলাদেশের হয়ে যেটি এখন দ্রুততম। মুশফিক ভাঙলেন সাকিব আল হাসানের রেকর্ড, ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন ৬৩ বলে। মুশফিকের আগের দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল ৬৯ বলে, ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে।

প্রথম ম্যাচে নেমেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে থেমেছিলেন ফিফটির আগেই। এবারও নেমে একটু সময় নিয়েছিলেন, প্রথম ১১ বলে তুলেছিলেন ১০ রান। তবে মুশফিক ঝড় তুলেছেন এরপর। সাকিব ও নাজমুল ৮ বলের মধ্যে ফিরলেও বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মূল কারিগর তিনিই। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে মুশফিকের জুটিত ৭৮ বলেই ওঠে ১২৮ রান। লেংথ বা জায়গা—মুশফিক যা-ই পেয়েছেন, কাজে লাগিয়েছেন দারুণভাবে। যখন আইরিশ বোলাররা একটু আঁটসাঁট বোলিং করতে পেরেছেন, মুশফিক বের করে এনেছেন স্কুপ। ড্রাইভ, ইনসাই-আউটে শট তো ছিলই। ১৪টি চারের সঙ্গে মুশফিক মেরেছেন ২টি ছক্কা। 

আগের ম্যাচেই নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। ঠিক পরের ম্যাচেই ভাঙল সেটি। ১ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৩৯/৫, ওয়ানডেতে এখন এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / প্রথম আলো / ডালিম