‘বাংলাদেশের অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভা যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির কেনেডি স্কুলের অ্যাশ সেন্টারে এ সভায় আলোচনা করেন ফ্যাকাল্টি সদস্য, গবেষকসহ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। কেনেডি স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীও এতে উপস্থিত ছিলেন।

 


অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল রূপান্তরের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়নসহ অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক দৃশ্যপটে দেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির ওপর জোর দেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলা’তে পরিণত করার জন্য সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং ফলাফলমুখী কৌশলের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব উন্নয়নের গতিপথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বের কৃতিত্ব দেন তিনি।


মন্ত্রী একটি স্থিতিস্থাপক অর্থনীতি, একটি সংযোগকারী এবং একটি বিনিয়োগ গন্তব্যে বিকশিত হওয়া বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। অর্থনৈতিক সাফল্যের সেই লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের বিষয়টি উল্লেখ করেন। উন্নয়নের রোডম্যাপকে আন্ডারলাইন করেন। তিনি হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের স্মার্ট দ্য অ্যাশ সেন্টার, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি'র রূপকল্প বাস্তবায়নে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং গবেষণার ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে 'বাংলাদেশের অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ নিয়ে নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে এই অঞ্চল এবং এর বাইরের ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়। তিনি আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ভূমিকা ও অবদানের ওপর আলোকপাত করেন। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তার পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’ অনুযায়ী এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আলোচনায় রোহিঙ্গা সঙ্কট, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূলতা, মহামারি ফলাফলের পাশাপাশি বৈশ্বিক রাজনৈতিক, আর্থিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অনিশ্চয়তার কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ওপরও আলোকপাত করা হয়।

অ্যাশ সেন্টারের আন্তর্জাতিক বিষয়ক অধ্যাপক অ্যান্থনি সাইচ এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের রাজাওয়ালি ফাউন্ডেশন ইনস্টিটিউট ফর এশিয়ার পরিচালক স্বাগত বক্তব্য রাখেন। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্য রাখেন। 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-১৪