সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির দশমাস পরেও ভগ্নদশা চৌধুরীপাড়া বাজার-আননপাড়া রাস্তা মেরামতের কোনো উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। ফলে চৌধুরীপাড়া বাজারের সাথে বাশতলা, পেকপাড়া, আননপাড়া, আলমখালী ও  ইদুকোনা গ্রামের সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবী, দিনমজুরসহ বিভিন্ন পেশার কয়েক হাজার মানুষ।
 

জানা যায়, ২০২২ সালের ১৬ জুন দ্বিতীয় দফা ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া বাজার টু আননপাড়া রাস্তায় মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ মিয়ার বাড়ির কাছে তিন স্থানে রাস্তা ভেঙে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। তখন থেকেই পেকপাড়া, আননপাড়া সহ অনেক গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়।
 


পেকপাড়া গ্রামের গৃহবধূ মিনারা বেগম বলেন, ‘এ ভাঙন মেরামত না হওয়ায় রাস্তা দিয়ে ভ্যান রিক্সা চলাচল করছেনা। আমি বাংলাবাজার থেকে চাউল, সবজি আনতে গিয়ে ছিলাম। ভাঙনের কারণে রিক্সা ভ্যান না পেয়ে মাথায় করে  বহন করতে হচ্ছে। একজন মেয়েমানুষ হিসেবে এটা আমার পক্ষে খুবই কষ্টকর।’

বাশতলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ মিয়া বলেন, ‘গেল বছরের দ্বিতীয় দফা ভয়াবহ বন্যায় ওই রাস্তাটি স্থানে স্থানে ভেঙে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। কিন্তু বন্যার পানি শুকিয়ে যাবার দীর্ঘদিন পরও রাস্তাটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় এলাকাবাসী বড়ই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।’
 

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভুইয়া জানান, রাস্তাটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। তাই জরুরিভিত্তিতে মেরামত করা এখন সময়ের দাবি। 

বর্তমান ইউপি সদস্য আল আমিন জানান, ‘আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে  রাস্তার বেহাল দশার কথা জানিয়েছি।’
 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রোটারিয়ান শেখ আবুল হোছাইন  বলেন, ‘বরাদ্দ পেলেই শিগগির রাস্তাটি মেরামত করা হবে।’

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/তাজুল/এসডি-১৭