সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ সালে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষনার মধ্যদিয়ে একটি সুখি, সমৃদ্ধ, দূর্ণীতি, শোষণমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলা মায়ের সোনার ছেলারা বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়ে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিছেন। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও আমরা দূর্ণীতি ও শোষণমুক্ত হতে পারিনি। দেশে আজ মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার সহ বেঁচে থাকার অধিকার নেই। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ নিরব কান্না করছে। নিয়ে মধ্যবিত্ত এখন নিম্নবিত্ত হয়ে যাচ্ছে আর নিম্নবিত্তরা দারিদ্রসীমার নিচে যাচ্ছে। রমজান মাসে বয়লার মুরগী ২৫০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে। সর্বোপরি আওয়ামীলীগ আর কিছু দিন ক্ষমতায় থাকলে মানুষ আর বাঁচতে পারবে না। বেঁচে থাকার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকার পতনের আন্দোলনে রাজপথে নামতে হবে।
রবিবার বিকেলে জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সাবেক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে এই জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রাম থেকে সম্মূখসমরে যুদ্ধ করে কানাইঘাট হয়ে সিলেট শহরে প্রবেশ করেন। সিলেট শহরে এমসি কলেজ এলাকায় সেই ভয়াবহ যুদ্ধ শেষে তার নেতৃত্বেই সিলেট শত্রুমুক্ত হয়েছিল। তাই সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে রেখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অপরিপূর্ণ।
জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন সেলিমের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন (চাকসু), নজরুল হোসেন পুতুল, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, মামুনুর রশিদ, আনোয়ার হোসেন মানিক, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, জেলা বিএনপি নেতা শরিফুল হক, এডভোকেট মোস্তাক আহমদ, জয়নাল আহমদ রানু, জালাল খান, মাহবুব আলম, শাহিন আলম জয়, আহমদ সোলাইমান।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েই নিজের দায়িত্ব শেষ করেন নি, তিনি সম্মূখসমরে যুদ্ধ করে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছিলেন। আজ ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে। ইতিহাস তার আপন গতিতে চলে, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। আওয়ামীলীগ কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শ্লোগান তোলে, মানবাধিকার, ভোটাধিকার, বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। প্রক্ষান্তরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা আকড়ে রাখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কর্মকাণ্ড করে বীর শহীদদের রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
আলোচনা সভা শেষে মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্নার মাগফেরাত কামনা, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এর পর ইফতার মাহফিলে অংশ নেন নেতৃবৃন্দ।
এসময় জেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আম্বিয়া চৌধুরী ও আবিদুর রহমান, উপজেলা বিএনপি নেতা মাসুক আহমদ, হাসান আহমদ, বিএনপি নেতা আবুল কাশেম সহ উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-৩৭