ফাইল ছবি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট পাথরের জন্য বিখ্যাত। এই দুই উপজেলায় প্রায় ৬টি পাথর কোয়ারি রয়েছে। যেগুলো থেকে পাথর উত্তোলন করতো কয়েক লক্ষ শ্রমিক। পূরণ হতো দেশের পাথরের প্রায় অর্ধেক চাহিদা। হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হয় পাথর কোয়ারি গুলো। সেগুলোকে বানিয়ে নেওয়া হয় পর্যটন কেন্দ্র।


মনের খুরাক মেটাতে বন্ধ করে দেওয়া হয় পেটের খুরাক। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গোয়াইনঘাট পাথর কোয়ারি থেকে শুরু হয়েছে পাথর উত্তোলন। কিন্তু আগের মতো বন্ধ রয়েছে কোম্পানীগঞ্জের কোয়ারি গুলো।



কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট সিলেট ৪ আসনের অন্তর্ভূত। এই আসনের এমপি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এলাকার মানুষের দুঃখদুর্দশা দেখে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ২টি ডিও লেটারও দিয়েছিলেন। গেল বছরের ২৬ অক্টোবর গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারি সমূহের ব্যবস্থাপনা এবং পাথর কোয়ারির তালিকা হালনাগাদ করে অবিলম্বে চালু করার জন্য জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর ডিও দেন। পরে ২২ ডিসেম্বর কোয়ারিসমূহ থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি না দিলে আগামী নির্বাচনে সরাসরি এর বিরূপ প্রভাব পড়বে, যার জন্য আমাদেরকেই সবাই দায়ী করবে এমনটি উল্লেখ করেও একটি ডিও দিয়েছিলেন। ডিও লেটারের ৩ মাস পেরোলেও বন্ধ রয়েছে কোম্পানীগঞ্জের পাথর কোয়ারি।


তবে পাথর উত্তোলন শুরু হয়েছে গোয়াইনঘাট থেকে। কোম্পানীগঞ্জের সচেতন লোকেরা দাবি করছেন ভালো লবিং না থাকায় ও নেতাদের মধ্যে বিরোধ থাকায় শুরু হচ্ছে না পাথর উত্তোলন। পার্শবর্তী গোয়াইনঘাটে পাথর উত্তোলন হলেও ভিন্ন নীতি কোম্পানীগঞ্জে।


জেলা পরিষদের সদস্য ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা মিয়া বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানুষ খুব কষ্টে আছে। রমজানের এই দিনে মানুষ যাতে ভালো ভাবে সেহরি ও ইফতার খেতে পারে সে জন্য তাদের কর্মসংস্থান কোয়ারি খুলে দেওয়া দরকার। আমরাও মন্ত্রীকে বলেছি। পার্শ্ববর্তী গোয়াইনঘাট থেকে যেভাবে পাথর উত্তোলন হচ্ছে আমরাও সেভাবে পাথর উত্তোলন করতে চাই।
মন্ত্রীও আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/জলিল/ইআ-০৬