ঢাকার বঙ্গবাজারে আগুনে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবেগাক্রান্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে, আগুনের বিষয়ে ভবিষ্যতে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
 

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী সকালের ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সহমর্মিতার কথা জানান।


তিনি বলেন, বৈঠকে বেশ সময় নিয়ে বঙ্গবাজারের এই আগুনের ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বেশ আবেগাক্রান্ত হয়েছেন যে গরীবের দোকানগুলো পুড়ে গেছে।

এর আগে, মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে দেশের অন্যতম বড় কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজারে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস মিনিট দুইয়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলেও বাতাসের মধ্যে ঘিঞ্জি ওই মার্কেটের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের চেষ্টায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট পুরোপুরি ভষ্মীভূত হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাশের এনেক্সকো টাওয়ার এবং আরও কিছু ভবন।

দীর্ঘ সময় ধরে জ্বলতে থাকা আগুনে ঈদের আগে সব মালামাল খুঁইয়ে ব্যবসায়ীদের এখন পথে বসার জোগাড়। ভয়াবহ আগুনে বিশাল এ ঘিঞ্জি মার্কেটের দোকান ও গুদাম সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ঈদ সামনে রেখে বঙ্গবাজার ও আশেপাশের মার্কেটের সব দোকানেই প্রচুর নতুন পণ্য তোলা হয়েছিল। কীভাবে সেখানে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কী করা যায় এ রকম আলোচনায় তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ফায়ার ব্রিগেডের কথা বলেছেন, উপর থেকে পানি ফেলা হয়েছে সেটার কথা বলেছেন। তবে আগুন নেভানোর সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করার কথাও বলেছেন। এসময় তিনি (প্রধানমন্ত্রী) জনগণকে আগুনের বিষয়ে সতর্কতা বৃদ্ধির কথা বলেছেন। এটা দোষারোপের বিষয় নয় যে তারা ছোট জায়গায় বেশি মানুষ থাকে, ইচ্ছা করে তো থাকে না। এইগুলো স্বীকার করেই আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।

বৈঠকে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের ফায়ার ফাইটিং যেসব প্রতিষ্ঠান আছে এগুলোর শক্তি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাচ্ছি আরও চালাতে হবে

মন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, রাজধানীতে ক্রমেই পানির জলাধার কমে যাচ্ছে। তাই এখন থেকে ভবন তৈরির সময় পাশে যেখান থেকে খুঁড়ে মাটি নেওয়া হয়, সেই গর্ত আর ভরাট করা যাবে না। যাতে ওই গর্তে কিছুটা হলেও একটা জলাধার সৃষ্টি হয়।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-১২