হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার রতনপুর-ছাতিয়াইন বাজার সড়কটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কটির বিভিন্ন অংশে পিচের কংক্রিট উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে পুরো সড়কের। যে কারণে ওই সকড়টি দিয়ে যাতায়তকারী সাধারণ জনগণ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। বিশেষ করে ওই সড়কটি দিয়ে রোগীদের আনা নেওয়া হয়ে উঠেছে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। এমতাবস্থায় দ্রুত যেন সড়কটি সংস্কার করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমন প্রত্যাশা সাধারণ জনগণের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রতনপুর ছাতিয়াইন বাজার সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়কটি দিয়ে নাসিরনগর উপজেলা ও জেলার মাধবপুর-লাখাই উপজেলার আশপাশের প্রায় শতাধিক গ্রামের মানুষ চলাচল করে। প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলে এতে। কিন্তু সম্প্রতি সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না করায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ও কংক্রিট উঠে গেছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে ছোড়-বড় অনেক গর্ত। তাছাড়া বৃষ্টি এলে সড়কে পানি জমে থাকে। যে কারণে মাঝে মধ্যে ঘটছে দূর্ঘটনা। এতে অনেকেই হতাহত হচ্ছেন।
সিএনজি চালক কাশেম মিয়া বলেন, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে মহাসড়ক দিয়ে আমরা চলাচল করতে পারি না। এ জন্য বিকল্প হিসেবে এ সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে হয়। কিন্তু সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না করায় এ সড়ক দিয়ে এখন চলাচল করা দায়। সড়কের বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের কারণে ঝুঁকি নিয়ে আমাদের সিএনজি চালাতে হচ্ছে। যে কোন সময় দূর্ঘটনা ও প্রাণহানিও হতে পারে। স্কুল ছাত্র আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা শিক্ষার্থীরা এ সড়ক দিয়ে স্কুল কলেজে আসা যাওয়া করতে হয়। কিন্তু সড়কে খানাখন্দের কারণে আমাদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। রবিউল আলম নামে এক ব্যক্তি জানান, সুস্থ মানুষজন কোন রকম চলাচল করতে পারলেও রোগীদের আনা নেয়া হয়ে উঠে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও শিল্পপতি জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, সড়কের বিভিন্ন অংশে পিচ-কংক্রিট উঠে ছোট বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সড়কটি দিয়ে চলাচল করা হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। তাই সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ লাগবে দ্রুত সড়কটির সংস্কার কাজ করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. শাহ আলম বলেন, সড়কটি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম /নাজাত