বাংলা নববর্ষের শুরুতেই বিরল সূর্যগ্রহণ হবে। এই গ্রহণের আছে একটি বিশেষত্ব। একে বলা হচ্ছে হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ। যা ১০০ বছরে নাকি দেখা যায় একবারই। ২০২৩ সালে মোট চারটি গ্রহণ হবে, যার মধ্যে দুইটি চন্দ্রগ্রহণ এবং দুইটি সূর্যগ্রর্যহণ ৷
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই গ্রহণগুলো দেখা যাবে। ২০২৩ সালে, প্রথম সূর্যগ্রর্যহণ হবে ২০ এপ্রিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশ থেকে কোনওভাবেই এই গ্রহণ দেখা যাবে না।
আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বাংলা বছরের প্রথম গ্রহণটি লাগবে। দ্বিতীয়টি হবে ১৪ অক্টোবর, শনিবার । ২০২৩ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ৫ মে, ২০২৩, শুক্রবার । এবং দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণটি ২৮ অক্টোবর, রবিবার দৃশ্যমান হবে।
জ্যোতিষ ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রথম সূর্যগ্রর্যহণ হবে ২০ এপ্রিল । ভারতীয় সময় অনুসারে সকাল ০৭:০৪ এ শুরু হবে এবং দুপুর ১২:২৯ এ শেষ হবে। এই সূর্যগ্রর্যহণে সূতক সময় প্রযোজ্য হবে না কারণ এটি ভারত থেকে দেখা যাবে না। দ্বিতীয় সূর্যগ্রর্যহণ ১৪ অক্টোবরে ঘটবে এবং এটি কর্কট, তুলা, মকর এবং মেষ রাশিকে প্রভাবিত করবে। এই সূর্যগ্রর্যহণে সূতক সময় প্রযোজ্য হবে কারণ এটি ভারত থেকে দৃশ্যমান হবে।
সূর্যগ্রর্যহণ বাংলাদেশে দৃশ্যমান হবে?
বছরের প্রথম সূর্যগ্রর্যহণ, যা ২০ এপ্রিল হতে চলেছে, তা বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না। এই বিরল সূর্যগ্রর্যহণ অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগর, অ্যান্টার্কটিকা এবং ভারত মহাসাগর থেকে দৃশ্যমান হবে।
হাইব্রিড সূর্যগ্রর্যহণ বা 'বার্ষিক রিং অফ ফায়ার' গ্রহণ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য দৃশ্যমান হবে। অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, পাপুয়া নিউ গিনি, ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রহণ দৃশ্যমান হবে।
হাইব্রিড সূর্যগ্রর্যহণ কি?
১৮ মাস পর পর একটি করে সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হয় । এই সময় সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দেয় চাঁদ। সূর্যের নানারকমের গ্রহণ হয়। কখনও আংশিক ঢাকা পড়ে সূর্য। কখনও পুরোপুরি ঢাকা পড়ে যায় সূর্য যাকে বলে পূর্ণগ্রাস। আবার কখনও বলয়গ্রাস হয় , যা পরিচিত ‘রিং অফ ফায়ার’। আর যদি তিনরকমই গ্রহণ একসঙ্গে ঘটে, তখন তাকে বলে হাইব্রিড গ্রহণ।
সূর্যগ্রর্যহণ দেখার সময় সতর্কতা
যদিও এই সূর্যগ্রহণটি বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না, তাও সূর্যগ্রহণ দেখা নিয়মগুলো জেনে রাখা ভাল। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, চোখে উপযুক্ত সুরক্ষা ছাড়া সূর্যগ্রর্যহণ দেখলে চোখের বড়সড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। যে ক্ষতি চিরস্থায়ী । তাই, সূর্যগ্রর্যহণ দেখার জন্য উপযুক্ত ফিল্টার যেমন কালো পলিমার, অ্যালুমিনাইজড মাইলার বা ১৪ নং শেডের ওয়েল্ডিং চশমা ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও, টেলিস্কোপের মাধ্যমে হোয়াইটবোর্ডে সূর্যের ছবির প্রতিফলন পেলে সহজেই সূর্যগ্রর্যহণ দেখা সম্ভব।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/ইআ-০২