ইফতেখার আহমদ সিদ্দিকী :: টিকটক! যা কিনা বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর একটি। দেশে-বিদেশে যার জনপ্রিয়তা একেবারে আকাশচুম্বী। বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আমাদের অনেকেরই ধারণা টিকটক আসলেই খুবই বাজে একটা প্ল্যাটফর্ম/অ্যাপ। অনেকে তো এর নাম শোনামাত্রই নাক সিঁটকানো শুরু করতে পারেন। উল্টাপাল্টা তালের নাচ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে টিকটক ভিডিও তৈরি করার নজিরও নেহাত কম নয়। আবার অনেকেই এর ভালো ব্যবহারও করে চলেছেন। চলুন না জেনে নেয়া যাক, আসলেই টিকটক কি? এবং এর মাধ্যমে কি কি করা যায়।

টিকটক হচ্ছে একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারী ১০-১৫ সেকেন্ড থেকে শুরু করে ১০ মিনিট পর্যন্তও যেকোনো ভিডিও পাবলিশ করতে পারেন। আমরা একে সহজে শর্ট-ফর্ম ভিডিও হোস্টিং সার্ভিসও বলতে পারি। টিকটক অ্যাপটি ২০১৬ সালে চীন থেকে এর যাত্রা শুরু করে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ১ বিলিয়নেরও বেশিবার। এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা কেমন হতে পারে সেটা তো আন্দাজ করাই যায়। বিশেষ করে Musical.ly এর সাথে টিকটকের একীভূত হওয়ার পর এর ব্যবহারকারী আরও বেড়ে গিয়েছিলো। আকর্ষণীয় সব ফিচার, সহজে ব্যবহার করা যায়, সব ধরনের ডিভাইসের জন্যই সমান তালে চলে এজন্য এই প্ল্যাটফর্মটি আরও অনেক বেশি জনপ্রিয়তা আদায় করে নেয়। 


আমাদের আজকের আলোচনা মূলত টিকটকে মার্কেটিং-কে ঘিরে। টিকটকে আসলেও কি মার্কেটিং সম্ভব? আসলেই তাই। অন্যান্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটকে মার্কেটিং তুলনামূলক সহজ। ব্যবহারকারী বেশী এবং ক্রমবর্ধমান হওয়ায় মার্কেটিং এর বিষয়বস্তুটি বৃহৎ সংখ্যক অডিয়েন্স/ব্যবহারকারীর নিকট দ্রুতসময়ে পৌঁছানো সম্ভব। ইনসাইডার ইন্টেলিজেন্স বিশ্লেষকরা ভাবছেন যে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রভাবশালী বিপণন ব্যয়ে টিকটক ইনস্টাগ্রামকে ছাড়িয়ে যাবে৷ খোদ আমেরিকাতে এখনই ২০০ মিলিয়নের মতো ডাউনলোড করা হয়েছে অ্যাপটি এবং ৮০ মিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছেন। 

যারা টিকটকে মার্কেটিং শুরু করতে চায় তারা এমনভাবে শুরু করতে পারে, যেন তাদের কন্টেন্ট সংক্ষিপ্ত, সহজে বোধগম্য বা সহজে হজম করা যায় এমন কিছু ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে। অনেক ক্ষেত্রে তারা আরও বিভিন্ন বিষয় যোগ করতে পারে যেমন, তাদের ব্র‍্যান্ড কি করে, তাদের ব্র‍্যান্ড কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারে, তাদের ব্র‍্যান্ড ভ্যালু কি ইত্যাদি। দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণ বা ধরে রাখার জন্য মজার মজার বিভিন্ন রকমের ভিডিও ক্লিপ তৈরি করা যেতে পারে। যা পরবর্তীতে ব্যবসার মডেল হিসেবে দারুণ কাজে লাগবে। টিকটক আরও বিভিন্ন কারণে মার্কেটিং-এ অনন্য হয়ে উঠতে পারে। কোনো পণ্যের টিউটোরিয়াল দেখাতে, এটা কীভাবে ব্যবহার করতে হয় বা পণ্যটির সুবিধাজনক/অসুবিধাজনক দিক, নতুন কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে কি না, কিংবা চলমান ট্রেন্ডগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে কি না এরকম আরও অনেক কিছু বিস্তারিত তুলে ধরা সম্ভব টিকটকের মাধ্যমে। টিকটকে খুব দ্রুত সময়ে লিড তৈরি করে নিয়ে পণ্য বিক্রি করা সম্ভব। সেইসাথে সেই নির্দিষ্ট  ব্র‍্যান্ডের সকলের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠার সুযোগ তো থাকছেই। তবে টিকটকে মার্কেটিং বিষয়টি এখনও সকলের কাছে পরিচিত নয়। এটি ধীরে ধীরে পরিপক্ক হয়ে উঠছে। এখনকার বৃহৎ সংখ্যক এজেন্সীগুলো নির্দিষ্ট ব্র‍্যান্ডের জন্য এমন সব চটকদার কন্টেন্ট তৈরি করছে যাতে সেগুলো ক্রেতাকে আগ্রহী করে তুলে বেশি ক্লিক ও ভিউ পায়। একটি পণ্যের সুপিরিয়র কোয়ালিটি কিংবা স্পেশালিটির উপর জোর দিয়ে তৈরি করা প্রচলিত বিজ্ঞাপনগুলো এখন আর আগের মতো কাজ করে না। সংক্ষিপ্ত, হালকা, মজাদার ক্যাম্পেইনগুলোই দিনশেষে ঠিক জায়গায় যেতে পারে। টিকটকে যেকোনো ব্র‍্যান্ডকে ভাইরাল করাই হচ্ছে টিকটক মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্য। 

 বড় বড় ব্র‍্যান্ডগুলি তাদের পণ্য ও সেবাসমূহের বিজ্ঞাপন দিতে টিকটকে ছুটে আসছে। এতে অবাক হবারও কিছু নেই। টিকটক এখন মার্কেটিং হাব-এ পরিণত হয়েছে যেখানে অর্থের বিনিময়ে তারা তাদের বৃহৎ গ্রাহকদের অ্যাক্সেস দিয়ে থাকে প্রচারণার জন্য। হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জ দিয়ে নতুন ট্রেন্ড তৈরি করে কিংবা বিভিন্ন পাবলিক ফিগার/ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে পার্টনারশিপ করে বড় একটা কমিউনিটির কাছে একটা ব্র‍্যান্ডকে পৌঁছানো যায়। আমরা সচরাচর যেটাকে ক্যাম্পেইনও বলি। 

চলুন দেখে নেয়া যাক টিকটকের দুর্দান্ত ভাইরাল হওয়া ব্র‍্যান্ডগুলোকে নিয়ে একটু বিস্তারিত-

Pepsi এর #ThatsWhatILike ট্রেন্ড – পেপসি এই ট্রেন্ড তৈরির মাধ্যমে অনেক বড় করেই তাদের প্রচারণা করতে পেরেছিলো। কোকাকোলার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা তাদের একটা লিড এনে দেয়। এই হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জটি ১৩ বিলিয়নেরও বেশি ভিউ পেয়েছিলো এবং দারুণ মজাদার উপায়ে সবাইকে ব্র‍্যান্ডটির সাথে যুক্ত করে নিয়েছে।
Red Bull এর #GivesYouWings ট্রেন্ড - এরা দুর্দান্ত ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরিতে একটু এগিয়েই! এবং দ্রুত ভাইরালও হয়। চরম স্টান্ট প্রদর্শনসহ, বিভিন্ন কৌশল ও কসরত প্রদর্শন করে মূলত এই হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। এদের এই #GivesYouWings চ্যালেঞ্জের ভিডিওগুলিতে ৭৯৮ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ রয়েছে। 

Nyx Gloss এর #ButterGlossPop ট্রেন্ড - এটি ছিলো একটি ব্র‍্যান্ডেড হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জ, যা ব্যবহারকারীদেরকে তাদের Nyx Butter Gloss Pop ব্যবহার করার ভিডিওগুলো পোস্ট করার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিলো। মূলত নিক্স কসমেটিকসের ১২০০ ডলার জেতার জন্যই সবাই এই স্যুইপস্টেকে প্রবেশ করে। প্রায় ২ মিলিয়ন ব্যবহারকারী এই ট্রেন্ড ফলো করেছিলেন এবং এই হ্যাশট্যাগটিতে ১১ বিলিয়নেরও বেশি ভিউ পেয়েছে। সেইসাথে ৪২ ভাগ পর্যন্তও ব্র‍্যান্ড সচেতনতা বাড়িয়ে দিয়েছে। যার ফলস্বরূপ এরা এখন সৌন্দর্য প্রসাধনী সামগ্রীগুলোয় মার্কেটিং এর নেতৃত্ব দিচ্ছে। 

Chipotle এর #GuacDance ট্রেন্ড- হ্যাশট্যাগ চ্যালেঞ্জকে একটু উর্ধ্বে নিয়ে গেছে। এরা  Zach King এর মতো টিকটক তারকাদের সাথে অংশীদারিত্ব করে নিজেদের ব্র‍্যান্ড ভ্যালু চিনিয়েছে। #GuacDance ট্রেন্ডে ২ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশি ভিডিও জমা হয়েছে এবং মাত্র ৬ দিনেই এই ট্রেন্ডে ভিউ ৪৩০ মিলিয়নে পৌঁছে গিয়েছে। 

বড় বড় কোম্পানিগুলো এভাবে মার্কেটপ্লেস ধরতে পেরেছে কারণ তারা তাদের চাহিদা ও গ্রহীতাদের সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই অবগত। টিকটকের বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরই বয়স ১৩ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। যেহেতু নতুন বিষয়গুলোর উপর আমাদের ঝোঁক বা আগ্রহ একটু বেশিই থাকে সেজন্যই এটি মার্কেটিং এর জন্য বিস্তৃত একটি পরিসর হিসেবে কাজ করছে।

আমাদের দেশীয় বিভিন্ন ব্র‍্যান্ডগুলোও সচরাচর মার্কেটিং থেকে বেরিয়ে একটু চৌকস মার্কেটিংয়ের দিকে নজর দিতে পারে। এর ফলাফল আমরা সাথেসাথে না পেলেও হয়তোবা কিছুদিন পরেও পেতে পারি। ব্র‍্যান্ড ভ্যালু তৈরি করে সকলের কাছে নিজের নাম পৌঁছাতে পারলে বাকি কাজটুকু আরও সহজতর হয়। এছাড়া আমরা যারা তরুণ প্রজন্মের রয়েছি তারা আরও অন্যরকমভাবে টিকটকে নিজেদের প্রদর্শন করতে পারি। বৃহৎ মার্কেটপ্লেস আছে এমন কোনো কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কিংবা আমাদের নিজেদের তৈরি বিভিন্ন শৌখিন জিনিসপত্র কিংবা ব্যবহার্য জিনিসপত্রের যোগান দিতে পারি। এছাড়া বাজারে আসা নতুন কোনো প্রোডাক্ট যেটা আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হতে পারে বা একদমই সহজলভ্য/ উপকারী যা অনেকেই জানে না, সেগুলো তুলে ধরতে পারি। এতে দুই ধরনের লাভ হতে পারে, প্রয়োজনীয় অর্থও আমার কাছে থাকলো সেইসাথে সবার মুখে একজন ভালো সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেও পরিচিতি পাওয়া গেলো।  এক কথায় আমরা যদি টিকটক নামের এই অ্যাপটার যথাযথ কাজে লাগাই, তাহলে হয়তো আমাদের চিরায়ত যে চিন্তাভাবনা তার অনেকাংশেই পরিবর্তন হয়ে যাবে।
সেইসাথে, আমরা যারা মার্কেটিং সেক্টরটাকে নিয়ে কাজ করছি তাদের জন্য এই টিকটক মার্কেটিং নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। যেহেতু এটি ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ফেসবুকের তুলনায় অনেক সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং অনেক কম সময়ে বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানো সম্ভব সেহেতু এটি নিয়ে অনেক ডিজিটাল মার্কেটাররাই কাজে লেগে যেতে পারেন। অনেকেই আবার এরকম মার্কেটিং নাও চাইতে পারেন। কিন্তু সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলাটাও কিন্তু এক ধরনের বুদ্ধিমানের কাজ।

শেষ করবো টিকটক মার্কেটিংয়ে ডিজিটাল মার্কেটারদের স্ট্র‍্যাটিজি কি হতে পারে এটা নিয়ে কিছু বলে। কেমন হতে পারে সেইসব স্ট্র‍্যাটিজি?

চলুন দেখে নেই-

প্রথম ধাপ: প্রথমেই উচিত টিকটকের সাথে পরিচিত হয়ে নেয়া। একজন সক্রিয় ব্যবহারকারী হিসেবে অ্যাপটি ব্যবহার করার চাইতে ভালো আর কি হতে পারে? দেখে নিতে হবে কখন পোস্ট করলে কন্টেন্টটা ভালো রেসপন্স পায়। ভিডিওতে কি যুক্ত করলে এর জনপ্রিয়তা বাড়বে সেটি নিয়ে খেয়াল রাখুন। কিভাবে কাজ শুরু করলে কাজটাকে পেশাদারদের মতো হবে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন। এভাবেই একজন টিকটক ব্যবহারকারী হিসেবে এটি ব্যবহার করার উপায় এবং দর্শকদের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া জানতে পারবেন।

দ্বিতীয় ধাপ: এখানে আপনার পর্যালোচনা করা উচিত আপনার প্রতিযোগিরা কি ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করছে এবং আপনি কি ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করছেন। আপনি যেটির উপর কন্টেন্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন সেটি সম্পর্কিত অন্যান্য যে ব্যবহারকারী/ব্র‍্যান্ডগুলো রয়েছে সেগুলোর ভিডিও প্রোমোট করার ধরন দেখেও আপনি শিখে নিতে পারেন অনেক কিছু। সহজভাবে বলতে গেলে, আপনার আগে নির্দিষ্ট কন্টেন্ট সম্পর্কিত সব ধরনের ভিডিও সম্পর্কে অডিট করে নিতে হবে। 

তৃতীয় ধাপ: এখানে চিন্তা করতে হবে যে আমি কিভাবে আমার জিনিসটাকে প্রমোট করবো এবং এটি আমার কাছে কিভাবে সাফল্য নিয়ে আসবে। নিজের জিনিসটাকে কিভাবে অন্য সবার থেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করা যায় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখলে ভালো হয়। কারণ, আমরা সবসময় নতুন কিছুই খুঁজি। আর সেটি প্রমোট করার পর কিভাবে সাফল্য আসতে পারে সেটি নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন। তবে এতে  অতিরিক্ত সময় দিয়ে অতিরঞ্জিত করার কিছু নেই। 

চতুর্থ ধাপ: নিয়মিত পোস্ট করুন। নিয়মিত বলতে প্রতিদিন পোস্ট করতে হবে এমন কিছু নয়। সপ্তাহে ২-৪ টি হলেই যথেষ্ট। এর মধ্যে ২ টি ট্রেন্ড ফলো করে হতে পারে, বাকি ২ টি হতে পারে অন্য কোনো ধরনের। যে যার মতো ইউনিক আইডিয়া দিয়ে করে কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে অ্যালগরিদমের উপর একটু নজর দিতে হবে ভালোভাবে। 

পঞ্চম ধাপ: নিজের অগ্রগতি সম্পর্কে একটু খোঁজ করুন। সপ্তাহে একটা দিন রাখুন যেদিন আপনি পুরো সপ্তাহে কি ধরনের কাজ করেছেন সেটির সম্যক ধারণা নিতে পারেন। সেইসাথে সপ্তাহজুড়ে যেসব ভিডিও ভালো ভিউ পেয়েছে বা সাড়া জাগিয়ে তুলেছে সেগুলো শনাক্ত করুন। আপনি। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার জন্য কি কি জিনিস প্রয়োজন সেটি নিয়ে আরেকটু যাচাই-বাছাই করুন। 

আশা করি এভাবে চেষ্টা করলেই এই বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। আমি চাই পজিটিভ বিষয়গুলোই আমাদের কাছে প্রাধান্য পাক।

লেখক: প্রবাসী তরুণ উদ্যোক্তা।