মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রমজানের শেষ সময়ে তীব্র দাবদাহে মধ্যে দিন ও রাতে সেহরির সময়সহ বিদ্যুৎ থাকে না ১২ ঘন্টা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। এক ঘন্টা পর পর বিদ্যুৎ আসা যাওয়ায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১২ ঘন্টা করে লোডশেডিং চলছে বলে কৃষকরাও জমিতে সেচ দিতে পারছেন না।
 

জানা যায়, বর্তমানে উপজেলায় ১৮ মেঘাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। তার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ১১ মেঘাওয়াট। তবে উপজেলায় ১২ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি থাকার কারণে পর্যায়ক্রমে এক ঘন্টা করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১২ ঘন্টা লোডশেডিং চলছে। অব্যাহত লোডশেডিং এর কারণে চা কারখানাসহ বিভিন্ন ধরণের কারখানা, ওয়ার্কসপ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। পাশাপাশি সেচের চাহিদাকৃত এলাকায়ও বিদ্যুতের অভাবে সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিদ্যুৎ গ্রাহকরাও অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন।
 


শমশেরনগর বাজারের ব্যবসায়ী মুর্শেদুর রহমান সেজু, শিপন আহমেদ, চিকিৎসক আব্দুল মোত্তাকিন বলেন, বর্তমানে এক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকার পর আবার এক ঘন্টা বিদ্যুৎ নেই। এক ঘন্টা পর পর লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করছে। অথচ পর্যায়ক্রমে সারা উপজেলায় একঘন্টা হারে লোডশেডিং হওয়ার কথা ছিল। তাছাড়া সেহরির সময়ে বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে প্রচন্ড গরমে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
 

এব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনালের ডিজিএম মীর গোলাম ফারুক বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই এ সমস্যা কেটে যাওয়ার কথা। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমস্যাজনিত কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। এর পরও যথাসাধ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করছি।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/জয়নাল/এসডি-০৭