ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযথ সন্মান ও মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করেছে ব্রুনাইস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ব্রুনাইয়ে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
 

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত চলাবস্থায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্য, চার জাতীয় নেতা ও শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনাসহ পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার। তিনি ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বানী পাঠ করে শোনান। উপস্থিত সবাইকে মুজিবনগর দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও ঘটনাবলী সম্পর্কিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।


মুজিবনগর দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য উপস্থিত সবার নিকট তুলে ধরেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা। তিনি তার বক্তব্যে জাতির পিতা ও চার জাতীয় নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী হিসেবে অভিহিত করে নাহিদা রহমান সুমনা তার বক্তব্যে বলেন, মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠন, শপথ গ্রহণ ও কার্যক্রম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও অসীম সাহসিকতাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল চালিকা শক্তি। সমগ্র বাঙালী জাতিকে বাঙালী জাতীয়তাবোধ এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের চেতনায় অনুপ্রাণিত ও একতাবদ্ধ করে নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে শক্তিশালী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে যে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল, সেই মহান কীর্তিগাথার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাংলাদেশের প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ এক রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, এনার্জি ও তথ্যপ্রযুক্তিসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তারই বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম-আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে সামিল হবে বলে তিনি দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার উদ্যোগ সফল করার জন্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে পরিশ্রম করার জন্য আহ্বান জানান।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-২০