হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সন্তোসপুর গ্রামে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন ড্রাগন, পিয়ারা ও তৃন ফলের বাগান। মালিক আব্দুর রহমান পুরো সময়টাই কাটাচ্ছেন বাগান সাজানোর কাজে। সে গোপালগঞ্জ জেলার টঙ্গীপাড়া উপজেলার শ্রিরাম কান্দি গ্রামের বাসিন্ধা।
 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১২বছর ৬ মাসের জন্য লিজ নিয়েছে ১ হাজার ৩৮ শতক জায়গায়। এর মধ্যে  ৪০০শতক ড্রাগন রোপন করেছে। মোট চারা রয়েছে ১৮ হাজার। ৫০০শতক ভূমিতে পিয়ারা মোট চারা রয়েছে ২ হাজার ৫০০শত। ১০০ শত ৩৮ শতক  ভূমিতে  লাগিয়েছে তৃন ফল। মোট চারা রয়েছে ১৫০০।এ বাগানে বয়স হয়েছে মাত্র ১বছর। ১০ থেকে১৪ জন লোক প্রতিদিন নিয়োমিত  বাগানে কাজ করে। আর ড্রাগন ফুল ফুটেতে শুরু হয়েছে হাজারের ও অধিক। ফুল থেকে ফল হতে সময় লাগে প্রায় দেড় মাস। তিন প্রকার জাতের ড্রাগন ফল রয়েছে বাগানে। যার মাঝে একটির ভিতরে ম্যাজেন্ডা লাল অন্যটির ভিতর সাদা আর একটির  মাঝে হলুদ।
 


বাগানটি দেখার সকল দায়িত্বে রয়েছে আব্দুর রহমান। তিনি সিলেটভিউকে জানান, দেশে ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে সেই চিন্তা মাথা রেখেই আমরা নাটোর থেকে এসে জমি লিজ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। বাজারে ড্রাগন প্রতি কেজির মূল্য ৪০০ টাকা। দুটো বা তিনটায় এক কেজি হয়। প্রতি চারার মূল্য ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ড্রাগন ফল মূলত আমেরিকা মহাদেশের একটি  ফল। ড্রাগন ফলের উৎপত্তি মরু অঞ্চলে নয়, এটি পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত সমৃদ্ধ মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ফল। তাই স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য গড় ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং বাৎসরিক ৫০০ থেকে ১০০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত প্রয়োজন। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য ফুল ঝরা, ফলের পচন ও গাছের গোড়া পচা দেখা যেতে পারে। তাই জমিতে পানি নিষ্কাশন সুনিশ্চিত দরকার। বর্তমানে দেশে বাণিজ্যিকভাবে এ ফলের চাষ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে এই ফলের বেশ কয়েকটি জাত আনা হয়।
 

ভিটামিন সি, মিনারেল এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত। ফলে ফিবার, ফ্যাট, ক্যারোটিণ, প্রচুর ফসফরাস, এসকরবিক এসিড, প্রোটিন ,ক্যালসিয়াম, আয়রন। উপজেলা কৃষি অফিসার আল মামুন হাসান জানান উপজেলা কৃষি অফিসের সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখে। পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করে। ড্রাগন বাগানের অবস্থা খুবই ভালো। আশানুরূপ ফলন হবে। তার এই উদ্যোক তরুনদের জন্য মডেল স্বরুপ।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/শামীম/এসডি-১৮২