হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেও ইউনিয়নের রসুলপুরে সরকারি ইজারাকৃত ছিলারাগ গ্রুপ বন্দের জলমহাল থেকে অবৈধভাবে মাটি  উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
 

সোমবার (৮ মে) মাটি উত্তোলন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জলমহালটির ইজারাদার ও উপজেলার রসুলপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি নুর ইসলাম। এছাড়াও সরকারি আরো ৩ টি দপ্তরে অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়৷
 


নুর ইসলাম অভিযোগে উল্লেখ করেন, সরকারি ইজারাকৃত জলমহাল থেকে এক্সেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করছেন কাকাইলছেও ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মৃত. আব্দুর রহমান মিয়ার পুত্র মোশাররফ হোসেন বাবুল, মৃত. চান্দ মিয়ার পুত্র মানিক মিয়া ও শিবপাশার জিয়াউর রহমান।
 

অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন মাটি উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনে বাঁধা দিলেও তারা  তা আমলে নিচ্ছেন না।

অভিযোগে আরো জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রাম সংলগ্ন ছিলারাগ গ্রুপ বন্দের জলমহালটি ১৪৩০-১৪৩৫ বাংলা সালের উন্নয়ন প্রকার বাস্তবায়নের শর্তে নগদ ১১ লক্ষ ২৬ হাজার ২৫০ টাকা এবং আনুসাঙ্গিক নগদ টাকা সরকারি কোষাগারে  প্রদান সাপেক্ষে জলমহালটি ইজারা গ্রহণ করে হবিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর সহিত যথারীতি চুক্তিনামা সম্পাদন করেন।
 

গত ৩ মে হবিগঞ্জ জেলা রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টরের মাধ্যমে ছিলারাগ জলমহালটি লিখিত দখলনামা গ্রহণ করেন। উন্নয়ন কাজ চলমান থাকা অবস্থায় মোশাররফ হোসেন বাবুল, মানিক মিয়া ও জিয়াউর রহমান এক্সেভেটর গাড়ি দিয়ে জলমহালের মাটি জোর পূর্বক কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।
 

রসুলপুর সমিতির সদস্যরা মাটি উত্তোলনে বাঁধা দিলে অভিযুক্তরা সরকারী জমির মাটি নিচ্ছে বলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করেন। এছাড়া জলমহালটি রক্ষায় অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন বন্ধ করার জন্য তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন।
 

মাটি উত্তোলন বন্ধ করা না হলে রসুলপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সকল সদস্যগণ মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীণ হবেন বলে উল্লেখ করা হয়।

অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন বাবুল বলেন, তিনি কোন জলমহাল বা সরকারি জলমহাল থেকে মাটি উত্তোলন করছেন না। তার নিজের জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে নিজের জমি ভরাট করেছেন। তবে তিনি মাটি উত্তোলনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছিলেন।
 

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রফিকুল আলমের মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জলমহালটি থেকে মাটি উত্তোলনের বিষয়ে আমি অবগত নই। অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলনের ব্যাপারে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/মিলাদ/এসডি-১৯৬