আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে চাপে আছে ক্ষমতাসীনরা। জাতীয় নির্বাচনের আগে এ নির্বাচন এক রকম গলারকাঁটা। তার ওপর বিষফোঁড়ার মতো দেখা দিয়েছে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। বিএনপি নির্বাচনী মাঠে না থাকার পরও যা জাতীয় নির্বাচনের আগে বেশ ভোগাচ্ছে আওয়ামী লীগকে।
নির্বাচনী হাওয়ার মধ্যে এটা বেশ স্পষ্ট যে, সিলেট সিটিতে দলীয় কোন্দল সামনে আসছে। পাশাপাশি বিরোধী শক্তিশালী প্রার্থী মাঠে সক্রিয়। যার কারণে বেশ চাপে আছে আওয়ামী লীগ।
২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোট। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রবাসী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে মাঠে নেমে কাজও শুরু করেছে। একজন প্রবাসীকে মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে সিলেটের নেতাদের মধ্যে অভিমান বা ক্ষোভ আছে। যদিও সবাই এখন এক ব্যানারে নেমে পড়েছেন। এখন পর্যন্ত সিলেট সিটিতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর খোঁজে মেলেনি। বিএনপি নেতা ও বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নির্বাচন করা, না করার ওপর নির্ভর করবে এখানকার জয়ের হিসাব-নিকাশ।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘ভোটের আগে তো একদম নিশ্চিত বলতে পারবো না। তবে আমাদের দলের সব নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ। আমাদের ধারণা, আমাদের প্রার্থী বের হয়ে আসবে (জয়ী হবে)।’
তবে বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী ভোটে আসবেন কি না, সেটা ২০ মে পরিষ্কার হবে। আরিফুল হক চৌধুরীর ভোট করা না করার ওপর অনেকটা নির্ভর করবে আওয়ামী লীগের জয়-পরাজয়।
সিলেটের স্থানীয় রাজনৈতিক সচেতনরা বলছেন, আওয়ামী লীগের সব পক্ষ ভোটে নামছে। কিন্তু এখানে দলীয় ভোট কম। সাধারণ ভোট বেশি। মানুষ তো উন্নয়ন ও ব্যক্তি ইমেজ দেখে ভোট দেয়। আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটে অনেক কাজ করেছেন। জনপ্রিয়তা তার বেশি। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তো মূলত ওসমানীনগরের লোক, প্রবাসী। তিনি তো সিলেট-২ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কাজও করেছেন। মনোনয়নে ইঙ্গিত পেয়ে তিনি শহরে ভোটার হিসেবে স্থানান্তরিত হয়েছেন। শহরের নেতারা তাকে মেনে নেওয়া কঠিন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ কেএম
সূত্র : জাগো নিউজ