সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর ঈশান কোনা গ্রামের সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত সৈয়দ জামাল মিয়া হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক সৈয়দ  হুসবান নূরকে পুলিশ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে। ধৃত হুসবান একিই গ্রামের মৃত সৈয়দ  এলাইছ মিয়ার পুত্র। তার দেওয়া তথ্যমতে সৈয়দ পুর গ্রামের পাশ্ববর্তী এনায়েতনগর এলাকার একটি কবর স্হান থেকে এক নলা একটি বন্দুক ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।  রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। 


জানাযায়, শনিবার জামাল হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাবইন্সপেক্টর জিন্নাত আলী সংগীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ফেনী সদর থানা ও ধর্মপাশা থানা পুলিশের সহযোগীতায়  গোপন সংবাদের ভিক্তিতে ফেনী সদর থানা এলাকা থেকে  জামালের মূল ঘাতক সৈয়দ হুসবানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। 



এএসপি জগন্নাথপুর সার্কেল শুভাশিস ধর জামাল হত্যার মূল ঘাতক হুসবান কে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকান্ডের পর থেকেই অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসী দের ধরতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আসছি। অবশেষে মূল ঘাতক কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি জানান,ধৃত মূল ঘাতক হুসবানের দেওয়া তথ্যমতে তার ব্যাবহৃত  লুকানো একটি অবৈধ একনলা বন্দুক ৪রাউন্ড গুলি সহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য আসামী দের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে । 


থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানূর রহমান জানান, ধৃত আসামী কে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 

উল্লেখ্য,  সৈয়দপুর (ইশানকোনা) গ্রামে ২৮ এপ্রিল রাত প্রায় ৯টার দিকে দুপক্ষের  সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এসময় সৈয়দপুর (ইশানকোনা) গ্রামের সৈয়দ আনহার মিয়ার ছেলে সৈয়দ জামাল মিয়া অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দের গুলিতে গুরুত্বর আহত হন। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় জামাল মিয়ার মৃত্যু হয়। 


জানাযায়,  আনহার মিয়ার ছেলে হোসাইন মিয়ার  সাথে সৈয়দপুর বাজারে একিই এলাকার  সৈয়দ হুসবান নূরের  কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে সন্ধার দিকে হোসাইন মিয়া কে প্রতিপক্ষের লোক জন মারপিট করে। পরে স্হানীয় পোষ্ট অফিস সংলগ্ন সড়কে হোসাইন মিয়ার লোক জন ও সৈয়দ  হুসবান নূরের নেতৃত্বে তার লোক জন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষ বন্দুক দিয়ে এলোপাতাড়ী গুলি করলে হোসাইন মিয়ার বড়ভাই জামাল মিয়া বুকে গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সহ কম পক্ষে ১৫ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  নিহতের চাচা গুলিবিদ্ধ  সৈয়দ আমিন মিয়া বলেন, আমি মধ্যস্হতা করে আমার লোকদের বাড়ীতে নিয়ে আসতে চাইছিলাম এসময় আমাদের লক্ষ্য করে হুসবান নূর এলোপাতাড়ী গুলি করতে থাকে। আমার ভাতিজা জামাল কে গুলিতে ঝাঝরা করে দেয়। আমি ও আমার ভাই সহ আমাদের সবার উপর গুলি করে ত্রাসের সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সৈয়দ  হোসাইন মিয়া বাদী হয়ে ধৃত হুসবান সহ ৫ জন কে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/সুনু/ইআ-০৮