আর মাত্র ৩৬ দিন। ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচন উপলক্ষে সবার আগে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। যে কারণে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীই প্রচারণায় সবার চেয়ে এগিয়ে। এ পর্যন্ত মনোনয়ন কেনা ৭ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে দলীয় প্রতীকের প্রার্থীদের প্রচারণায় গতি থাকলেও বাকি স্বতন্ত্র ৪ প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা ঢিমেতালে।
সিসিক নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ছাড়া মেয়র পদে দলীয়ভাবে মনোনয়ন কেনা দুজন হলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান খান, সামছুন নুর তালুকদার ও মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন।
দেখা গেছে, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার আগেই দেশে এসে মানুষের জন্য কাজ করতে শুরু করেছেন। দল তাকে মনোনীত করার পর কাজে বেড়েছে আরও গতি। এই মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। মহানগরের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে শিডিউল করে ভোটারসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে প্রতিদিন করছেন মতবিনিময় ও গণসংযোগ। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে করছেন বৈঠক। নগরবাসীও এসব সভা-বৈঠকে অভূতপূর্বভাবে সাড়া দিচ্ছেন। যে স্থানেই আনোয়ারুজ্জামান যাচ্ছেন সেখানে ‘নৌকা নৌকা’ স্লোগানে মুখরিত হচ্ছে চারপাশ। তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিকল্পনায় চলছে আনোয়ারুজ্জামানের এসব প্রচারণা।
সচেতন নগরবাসীর বক্তব্য শেষ পর্যন্ত এভাবে বিরামহীন ও পরিকল্পিত প্রচারণা নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার সম্ভাবনাই বেশি।
অপরদিকে, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীও এখন শিডিউল করে মহানগরের বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভোট চাইছেন নিজ নিজ প্রতীকে। তবে জাপা’র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের আগেই মাঠে নেমেছেন ইআ’র মাহমুদুল হাসান। তবে মহানগরে এ প্রার্থীর দলীয় জনশক্তি কম থাকায় তার চাইতে জাপার বাবুলের প্রচারণায় লোকসমাগম ঘটছে বেশি।
দলীয় এই ৩ প্রার্থী ছাড়া স্বতন্ত্র সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণা মহানগরে দেখা যাচ্ছে না বললেই চলে। যদিও সোমবার তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বলেন- নির্বাচনে মাঠে রয়েছেন তারা। চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণাও।
উল্লেখ্য আগামী ২১ জুন সিসিকে ভোট ইভিএমে হবে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৫ মে। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন।
সোমবার বিকাল পর্যন্ত মেয়র পদে ৭ ও কাউন্সিলর পদে ৪০৭ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। কাউন্সিলরদের মধ্যে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (মহিলা) কিনেছেন ৮৮ ও সাধারণ ওয়ার্ডে (পুরুষ) কিনেছেন ৩১৯ জন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম