বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের স্বীকৃতি পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্ট। কনসাল্টিং ফার্ম নোম্যাড ক্যাপিটালিস্টের সূচক অনুযায়ী, চলতি বছর প্রথমবারের মতো শীর্ষ ১০-য়ে প্রবেশ করেছে আমিরাতের পাসপোর্ট।
 

গত বছর আমিরাতের পাসপোর্ট এই তালিকায় ৩৫তম অবস্থানে ছিল। সেখান থেকে এক লাফে এবার একেবারে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে দেশটির পাসপোর্ট। ফার্ম নোম্যাড ক্যাপিটালিস্টের সূচক অনুযায়ী, ভ্রমণ স্বাধীনতার পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ এবং ঈর্ষণীয় ট্যাক্স সিস্টেমের ওপর নির্ভর করে এই তালিকা তৈরি করা হয়।
 


মূলত পাঁচটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে পাসপোর্টের এই তালিকা তৈরি করা হয়। এগুলো হলো-ভিসা ফ্রি ভ্রমণ, নাগরিকদের কর, দৃষ্টিভঙ্গি, দ্বৈত নাগরিকত্ব এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা।
 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই অথবা ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ১৮১টি দেশে ভ্রমণ করতে পারে। এছাড়া দেশটিতে ট্যাক্টেশনের স্কোর ৫০ যার অর্থ দাঁড়াই জিরো ট্যাক্স।

প্রতিটি দেশের নাগরিকদের কিভাবে সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারে বা স্বীকৃত হয় তা নির্ধারণ করতে সংস্থাটি বিশ্বের সুখী দেশগুলোর প্রতিবেদন, মানব উন্নয়ন সূচক এবং বিষয়গত কারণগুলোর ওপর নির্ভর করে।
 

দ্বৈত নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে আমিরাতের স্কোর ৩০। অর্থাৎ দেশটির নাগরিকরা চাইলেই অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের অনুমতি পেয়ে থাকেন। এছাড়া ব্যক্তি স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও আমিরাতের স্কোর বেশ ভালো। বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবা, সরকারী নজরদারি এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সম্পর্কিত ডেটা এবং সংবাদ প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করে।
 

পাসপোর্টের সূচকে চলতি বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্ট মোট ১১০ দশমিক ৫০ স্কোর অর্জন করেছে। আরব আমিরাত ছাড়া শীর্ষ ১০য়ে থাকা বাকি দেশগুলো হলো- লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, জার্মানি, চেক প্রজাতন্ত্র, নিউজিল্যান্ড, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-৩১৪


সূত্র : জাগোনিউজ