ছবি : রুবেল মিয়া

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসা ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের হঠাৎ প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত ১০টার দিকে তাদের প্রত্যাহার করে নেয় জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়।

মেয়র আরিফের অভিযোগ, কোনো নোটিশ ছাড়াই তাঁর বাসা ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাঁকে হয়রানি করার জন্যই এমনটি করা হয়েছে। তিনি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। 


আর জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় বলছে- নিয়মবহির্ভুতভাবে এতদিন এ দায়িত্ব পালন করছিলেন আনসার সদস্যরা। এবার ‘নিয়মের ভেতরেই’ তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

জানা যায়, নির্দিষ্ট মাসিক ফি-তে প্রায় পাঁচ বছর আগে জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় থেকে ২৩ জন আনসার সদস্যকে নিয়োগ দেয় সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে পাঁচজন আনসার সদস্য দিন ও রাতে পালাক্রমে মেয়রের ব্যক্তিগত ও তার বাসার নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। 

তবে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ মেয়র আরিফের বাসা ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন থেকে সরে দাঁড়ান। 

খবর পেয়ে মঙ্গলার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদমাধ্যমকর্মীরা মেয়র আরিফুল হকের বাসায় ছুটে যান। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি টানা দুই দফায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। প্রথম দফায় সরকার দুজন ‘‘গ্যানম্যান’’ আমার নিরাপত্তায় নিয়োগ দিলেও পরের দফা দেয়নি। অথচ নিয়ম অনুযায়ী আমার নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। দেশের অন্য মেয়রেরা এই সুবিধা পেলেও আমি বঞ্চিত। এ জন্যই সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যথাযথ নীতিমালা মেনে নির্দিষ্ট মাসোহারার বিনিময়ে জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের মাধ্যমে সিটি কর্তৃপক্ষ আনসার সদস্যদের নিয়োগ দেয়। নিয়োগের পর থেকে পাঁচজন আনসার সদস্য আমার ব্যক্তিগত ও বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। কিন্তু কোনো নোটিশ ছাড়াই আজ (মঙ্গলবার) রাতে আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সিটি নির্বাচন সামনে রেখে আমাকে হয়রানি করতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটা করা হয়েছে। আমি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি।’

মঙ্গলবার রাতে এ বিষয়ে আনসার ও ভিডিপি’র সিলেট জেলার কমান্ড্যান্ট আলী রেজা রাব্বি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের আবেদনের নগর ভবনের নিরাপত্তা দিতে আনসার নিয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে পাঁচজন আনসার সদস্য মেয়রের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও তাঁর বাসভবনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বাসা বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য আনসার নেওয়া যায় না। আমি সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। যোগদানের পর বিষয়টি জানতে পেরে নিয়মের মধ্যেই তাদের আজ (মঙ্গলবার) প্রত্যাহার করে নিয়ে এসেছি। এখন এসব আনসার সদস্য শুধু নগর ভবনে দায়িত্ব পালন করবেন।’


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম