বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সামাজিক কাজে অংশগ্রহণের জন্য ৪০ হাজার ৫০০ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। কিন্তু অডিট রিপোর্টে ওই টাকার কোনো তথ্য না পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান কিশোর কুমারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

 


বুধবার (১৭ মে) কুমিল্লার বাসিন্দা সাবিহা রহমান নিতু তার আইনজীবী মো. হায়দার তানভীরুজ্জামানের মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক দাতব্যমূলক কাজ করে আসছে। সংগঠনটি তাদের বিভিন্ন কাজের ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে। ফলে সাধারণ মানুষ প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে অর্থ প্রদান করে থাকেন।
 

সাবিহা রহমান নিতু সংগঠনের সামাজিক কাজে অংশ নেওয়ার উদ্দেশে ফাউন্ডেশনের অ্যাকাউন্টে দুই দফায় ৪০ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করেন।

নোটিশে বলা হয়, কিছু দিন ধরে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে কিছু অভিযোগ উপস্থাপিত হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন অনিয়ম ও টাকার সঠিক ব্যবহার না করার অভিযোগ এসেছে। কিন্তু এসব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

লিগ্যাল নোটিশে কিশোর কুমারের উদ্দেশে বলা হয়, অডিট রিপোর্টে আপনার প্রতিষ্ঠান সকল ব্যয়ের খাত স্পষ্টভাবে উল্লেখ রাখে। কিন্তু রিপোর্ট চেক করেও আমার মক্কেল তার প্রেরিত অর্থের কোনো তথ্য পাননি। তার অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে সেটা বার বার জানতে চাওয়া সত্ত্বেও কোনো সদুত্তর দেননি।
 

তাই এই নোটিশ পাওয়ার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে ৪০ হাজার ৫০০ টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে তার সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করবেন। অন্যথায় দেশের প্রচলিত আইনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে, রাজধানীর বঙ্গবাজারের পোড়া কাপড় দিয়ে তৈরি অলংকারের ছবিসহ ‘মজিদ চাচা’ ও গরুর ছবি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে নিয়ে। প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়েও কেউ কেউ অভিযোগ কিংবা সমালোচনা করছেন।

এসব সমালোচনা নিয়ে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস নিজের বক্তব্য দিয়েছেন। গত ১৮ এপ্রিল রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের লাইভে এসে বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে ওঠা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন কিশোর কুমার দাস।
 

কিশোর কুমার দাস বলেন, বিদ্যানন্দের সমালোচনা যারা করছেন তারা আসলে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই করছেন। তারা মনে করছেন বিদ্যানন্দের ভুল হলে এতে দেশের ক্ষতি হতে পারে। তবে কেউ যদি মনে করেন বিদ্যানন্দের কাছে স্বচ্ছতা নেই তাহলে যে কেউ মামলা করতে পারেন। এর আগে অনেকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে এবং সেগুলোর জবাবও দেওয়া হয়েছে।
 

বিদ্যানন্দের অডিট প্রতিবেদন নিয়ে তিনি বলেন, যাদের মনে বিদ্যানন্দের অডিট প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন জাগছে তারা কষ্ট করে অডিট ফার্মের কাছ থেকে তথ্য নেন। বিদ্যানন্দ ব্যক্তিগতভাবে কারো কাছ থেকে টাকা নেয় না। অডিট ফার্ম ব্যাংক থেকে হিসাব নিয়ে অডিট করে। তাদের বিভিন্ন ভাউচার দিতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী ট্যাক্স, ভ্যাট সব পরিশোধ করা হচ্ছে।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-৩৩৫