দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলেন জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার জাকির হাসান।

তিনি গত ২২ মে সোমবার ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ৫৯তম ব্যাচে ভর্তি হন। এর পূর্বে তিনি বিকেএসপি থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাশ করেন। ভর্তি কার্যক্রম শেষে জাকির হাসান মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির এমবিএর শিক্ষার্থী জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ  ও সাবেক অধিনায়ক  এবং মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (স্পোর্টস) রাজিন সালেহ ও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ৩১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাতীয় দলের কৃতি ক্রিকেটার সৈয়দ খালেদ আহমেদসহ  ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন।


এ সময় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার এমইউ স্পোর্টস ক্লাবের উপদেষ্ঠা তারেক ইসলাম ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান পলাশ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে জাতীয় দলের ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক এমবিএ ২৭ ব্যাচ, আবু জাহেদ রাহি  বিবিএ ৪১ ব্যাচ, অনুর্ধ ১৯ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক সহ অধিনায়ক রাহাতুল ফেরদৌস জাবেদ এমবিএ ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী। 

এ প্রসঙ্গে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, “জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীরা জাতীয় ক্রিকেট দলে চান্স পাওয়ায় আমি যারপর নাই আনন্দিত। ইত্যাদি খ্যাত সঙ্গীত শিল্পী তোশিবাও আমাদের আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী। মিরাক্কলে সাড়া জাগানো কৌতুক অভিনেতা আবিদুল ইসলাম রনিও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেছেন।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেমন গুগল, অ্যামাজন ও নিউইয়র্ক স্টক এক্সেচেঞ্জসহ দেশের প্রশাসন ও বিচারবিভাগের বিভিন্ন পর্যায় এবং এনজিও, দাতা সংস্থা ও বেসরকারি খাতে চাকুরি করছেন; আবার কেউ কেউ শীর্ষ উদ্যোক্তা হচ্ছেন। শিক্ষার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি সহ শিক্ষামূলক কার্যক্রমকে উৎসাহ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ ও অন্যান্য আনুসঙ্গীক সুযোগ সুবিধা। এজন্য আমি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব স্ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান শিক্ষানুরাগী তৌফিক রহমান চৌধুরী এবং ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর এমও রহমান চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান।

ভাইস চ্যান্সেলর আরো বলেন, জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের উপস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলার মান ও খ্যাতি বাড়াবে, আমাদের অন্য শিক্ষার্থীদের উচ্চাকাঙ্ক্ষী করে তুলবে, অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের ক্রিকেট দলকে বিশেষজ্ঞ দিকনির্দেশনা প্রদান করবে। তাঁদের কৃতিত্ব ও দক্ষতা একটি প্রাণবন্ত ক্রীড়া সংস্কৃতিতে অবদান রাখবে বলে আমি আশা করি। তাঁরা অবশ্যই পড়াশোনা ও খেলাধূলাকে সমগুরুত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি পরিবারের মধ্যে গর্ববোধ জাগিয়ে তুলবেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ মাহি