সারাদেশে ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক বন্ধ হলে বিশ্বনাথেও ইজি বাইক বন্ধ রাখবেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর এলাকার শ্রমিকরা।

সোমবার (২২ মে) দুপুরে পৌর শহরে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন বিশ্বনাথে ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মোস্তাক আহমদ খান। 


লিখিত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, ইজি বাইক চালিয়ে আমরা আমাদের সংসার চালাই। আমরা গরীব হওয়ার ফলেই আজ আমাদেরকে অটোরিক্সা চালাতে হচ্ছে। আমাদের অটোরিক্সার মাধ্যমেই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকেন। আমরা আইন-মেনে অটোরিক্সা চালাই। আমাদেরকে সরিয়ে দিতে অনেকে ষড়যন্ত্র করছেন। বৃহত্তর সিলেটের প্রতিটি পৌর এলাকায় ইজিবাইক চলে। সরকার যদি পুরো বাংলাদেশে অটোরিক্সা বন্ধ করে দেন, তবে আমরাও বিশ্বনাথে অটোরিক্সা বন্ধ করে দেব। আমরা নিন্ম আয়ের খেটে-খাওয়া মানুষ। আমাদের বিরুদ্ধ ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না সমঝোতার মাধ্যমে এ বিষয়টির সুষ্ঠ সমাধান করুন। কারণ ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক নিষিদ্ধ নয়। শুধুমাত্র সিএনজি চালিত অটোরিক্সা মতো আমরাও মহাসড়কে ইজিবাইক চালাতে পারব না।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা যাত্রীদের সেবা দেই, তাই ব্যাটারী চালিত ইজি বাইককে নিবন্ধনের আওতায় এনে আমাদেরকে বৈধভাবে চলার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। এবিষয়ে তারা পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। আর উপজেলার জনগনকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তারা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর এলাকায় প্রায় আড়াই হাজার ইজিবাইক-অটোরিক্সা রয়েছে। এর মধ্যে পৌরসভায় প্রায় ১৮০০-২০০০। আর উপজেলাজুড়ে ২০টি স্ট্যান্ড ও সদরের ৪টি স্ট্যান্ড রয়েছে। আমাদের ইজিবাইক যদি বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে আমরা এতগুলো পরিবার না খেয়ে মরবো।

এসময় বক্তব্য রাখেন ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম ওদুদ, শ্রমিক নেতা আব্দুল কালাম ও আব্দুল খালেক।