বিএনপির মতো বর্তমান সরকারে অধীনে সব নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলো নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারানো দল জামায়াতে ইসলামী। তবে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৬ জন নেতা। তবে তাদের মধ্যে চারজন নির্বাচিত হয়েছেন।
 

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে ‘জামায়াতের পাঁচ নেতা’ কাউন্সিল নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (২১ জুন) রাত নয়টার কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
 


জামায়াতের নেতা হিসেবে পরিচিত যে চার জন নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- ৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পান সায়ীদ মো. আবদুল্লাহ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর আবদুল মুহিত, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন আবদুল জলিল ও  ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন রিয়াজ মিয়া।


এছাড়া ২৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর সুহেল আহমদ রিপন ও  ১০নং ওয়ার্ডে আব্দুল হাকিম বিজয়ী হতে পারেন নি।
 

সিলেট সিটিতে গতবার ২৭টি ওয়ার্ড ছিল। এবার আরও ১৫টি নতুনভাবে যুক্ত হয়ে ওয়ার্ড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২।
 

প্রসঙ্গত,২০১৮ সালের সিসিক নির্বাচনে দলের মহানগর শাখার তৎকালীন আমীর এহসানুল মাহবুব জুবায়েরকে মেয়র পদে প্রার্থী করেছিল জামায়াত। জোটসঙ্গী জামায়াতকে ছাড়াই সেবার মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। সিলেট সিটি নির্বাচনকে ঘিরেই বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এরপর নানা ইস্যুতে দূরত্ব বাড়তে বাড়তে সিলেটে অঘোষিতভাবে ভেঙেই গেছে বিএনপি-জামায়েতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট।
 

সর্বশেষ নির্বাচনে মেয়র পদে আরিফুল হক যেখানে প্রায় এক লাখ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন, সেখানে মাত্র ১১ হাজার ভোট পাওয়ায় জামায়েতের প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ মাহি