রাজনৈতিক অবস্থানগত দিক থেকে ত্রিপুরা রাজ্যে কংগ্রেস বর্তমানে বিরোধী দলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার (২ অক্টোবর) কংগ্রেস এক যোগদান সভায় চমক দেখালো।

 
এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও কংগ্রেস দল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১ হাজার ৪৭৩ জনজাতি পরিবার থেকে ৭ হাজার ৪২৩ জন ভোটারকে নিজেদের দলে নিয়ে আসতে সক্ষম হলো।  


কংগ্রেসে যোগ দেওয়াদের মধ্যে রয়েছেন সিপিআই দলের নেতা এবং সাবেক বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভার মন্ত্রী খগেন্দ্র রিয়াং। এই উপলক্ষে এদিন রাজধানী আগরতলার পোস্ট অফিস চৌমুহনী এলাকার এক সভার আয়োজন করা হয়।  

এদিনের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা, সর্বভারতীয় কংগ্রেস সম্পাদিকা এবং ত্রিপুরা রাজ্যের অবজারভার জারিতা লাইপ্রাং প্রমুখ।

এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুদীপ রায় বর্মন বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের জনজাতিদের যেটুকু উন্নয়ন হয়েছে তা সম্ভব হয়েছে কংগ্রেস সরকারের জন্য। জনজাতি মানুষ ধীরে ধীরে তা বুঝতে সক্ষম হয়েছেন তাই তারা আবার কংগ্রেসের ফিরে আসতে শুরু করেছেন। বর্তমান বিজেপি সরকার মুখে বললেও জনজাতি অংশের মানুষের জন্য কোনো কাজ করেনি।  
 

কংগ্রেস জনজাতি অংশের মানুষের জন্য যে সকল প্রকল্প চালু করেছিল এই প্রকল্পগুলোকে শুধু নাম পরিবর্তন করেছে বিজেপি। নতুন করে জনজাতির জন্য কোন কিছু করেননি বলে অভিযোগ করেন।
 

পাশাপাশি তিনি এদিন সভা থেকে টিপ্রামথা দলের সুপ্রিম প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মনের প্রতি আহ্বান রাখেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস সব সময় রাজ পরিবারকে সম্মান করে আসছে। তাই রাজ পরিবারের সদস্য কিরীটি বিক্রম মানিক্যকে কংগ্রেস সংসদ সদস্য করেছিল, একইভাবে মহারানী বিভু কুমারী দেবীকে মন্ত্রী এবং এমপি করেছিল। তাই তুমি প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মনের কাছে আবারও আহ্বান রাখেন তাদের গোটা দল কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যাওয়ার জন্য। এমনকি ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার জন্য প্রদ্যুৎ কিশোরকে প্রস্তাব দেন এদিন।

 

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-২৩