পবিত্র রমজান ও কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার মাসে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে। পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বহুজাতিক নগরীর স্টেটে পবিত্র কোরআনের বাণী তেলাওয়াত এই প্রথম।
 

 ১১ মার্চ, সোমবার স্টেট সিনেটর জেসিকা রামসের কোরআন তেলাওয়াতের প্রস্তাবনা সিনেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এ প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন ডেমোক্রাট রাজনীতিক, গ্লোবাল পিস অ্যামব্যাসেডর স্যার ড. আবু জাফার মাহমুদ। তার সঙ্গে ছিলেন ট্রেড ইউনিয়ন নেতা মিলন রহমান। কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জ্যাকসন হাইটস ইসলামিক সেন্টারের খতিব মাওলানা আব্দুস সাদিক। কোরআন তোলাওয়াতের সময় অধিবেশনে উপস্থিত সকল সিনেট সদস্য ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন।



উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট সিডিপ্যাপ রক্ষা তথা ও হেলথ বাজেট অব্যাহত রাখার প্রশ্নে চলতি আন্দোলনের পক্ষে একাত্ম হয়েছে। শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি। সোমবার স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদের উপস্থিতি দেখে অধিবেশনের চেয়ার রোজান জে পারসড, স্টেট সিনেট এর ডেপুটি মেজরিটি লিডার সিনেটর মাইকেল জিনারিসসহ সুপরিচিত সিনেটর ও অ্যাসেমব্লি মেম্বারবৃন্দ তার সঙ্গে দেখা করেন। তারা বাজেট অধিবেশনে কোরআন তেলাওয়াতের উদ্যোগে সাধুবাদ জানান।  
 

এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত রচনার পেছনে ভূমিকা রাখতে পেরে স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া জানিয়ে বলেন, পৃথিবীর রাজধানীখ্যাত নিউইয়র্কে বহু জাতি ধর্মের মানুষের বসবাস। এখানকার স্টেট সিনেট অধিবেশনে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আল্লাহর রহমতের বাণী প্রচার হয়েছে। কোরআন নাজিলের মাসে বিশ্ব মুসলিমের জন্য এটি এক অসাধারণ শান্তির বার্তা। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে উদারনীতির বহিঃপ্রকাশ আমরা উপলব্ধি করেছি তা এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এই আয়োজনে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি স্টেট সিনেটর জেসিকা রামোসের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
 

মাওলানা আব্দুস সাদিক বলেন, সিনেটের মতো একটি জায়গায় কোরআনুল করীমের বাণী শোনাতে পারা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। বিশেষ করে রমজানের শুরুর দিন, এই উদ্যোগ অনেক মহান ও মহৎ। তিনি পবিত্র কোরআনের উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলেন, আল্লাহ বলেছেন, শত্রুরা বার বার ইসলামকে শেষ করে দিতে চাইবে, কিন্তু আল্লাহ এই শান্তির ধর্মের আলো জ্বালিয়ে রাখবেন। আজ সিনেটের বাজেট অধিবেশনে কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে শুরু হলো, এটি এক ইতিহাস হয়ে থাকবে। যারা এর পেছনে কাজ করেছেন তারা মহান কাজ করেছেন। তারা সত্যিকার অর্থে দীনের কাজ করেছেন।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এনটি