হবিগঞ্জের মাধবপুর গাবতলী সিএনজি স্ট্যান্ডের টোল উত্তোলনকে কেন্দ্র করে পরিবহন শ্রমিক ও পৌরসভার কাউন্সিলরদের মধ্য ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মাধবপুর পৌরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর সহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে মাধবপুর কাটিয়ারা গাবতলি সিএনজি স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পরিবহন শ্রমিক ও মাধবপুর পৌর কর্তৃপক্ষ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। 



বহস্পতিবার বিকালে মাধবপুর পৌরসভার সচিব আমিনুল ইসলাম এ ঘটনার বর্ননা করে সাংবাদিকদর জানান, 

জানা যায়, এবছর মাধবপুর কাটিয়ারা সিএনজি স্ট্যান্ডের ইজারা আহবান করা হলেও দরদাতা পাওয়া যায়নি। ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে মাধবপুর পৌর কর্তৃপক্ষ টোল আদায়ে নামে। পৌর কর্তৃপক্ষ টোল আদায়ে প্রতিবাদে দুপুরে পরিবহন শ্রমিকসহ ৫০ থেকে ৬০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পৌরসভার কর্মচারী ও কাউন্সিলরদের আক্রমণ করে। এতে কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম, কাউন্সিলর হাকিম, কর কর্মচারী উৎপল সাহা ও সোহেল মিয়াসহ ১০/১২ জন আহত হয়। 


মাধবপুর পৌরসভার সচিব আমিনুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।


এদিক কাটিয়ারা গাবতলী সিএনজি স্ট্যান্ড শ্রমিক নেতা লোকমান হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মাধবপুর পৌরসভার মেয়রের নির্দেশে পৌরসভার লোকজন সিএনজি থেকে চাঁদা উত্তোলন শুরু কর। এ সময় সিএনজি চালকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি করলে পৌরসভার লোকজন শ্রমিকদের ওপর হামলা করে। এতে শ্রমিক চেরাগ আলী, হারুন মিয়া, কামাল মিয়া, হারিছ মিয়া, হাকিম মিয়াসহ ১০/১২ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় শ্রমিকরা মাধবপুর থানায় মামলা করবেন বলে জানায়। 

 

এঘটনার পর মাধবপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক বিকালে পৌরসভা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, আইন অনুযায়ী টোল আদায় করতে গিয়ে কাউন্সিলর সহ পৌরসভার কর্মচারীদর পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। পৌরসভার রাজস্বের জন্য এ টোল আদায় করা হয়। পৌরবাসীকে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত করতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 


মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম খান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ঘটনার সাথে জরিতদের বের করার চেষ্টা চলছে।
 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম /সামিম/ নাজাত