সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে হত‍্যার দায়ে স্বামীকে আজীবন (আমৃত‍্যু) কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

 


বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে এই রায় দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ঝলক রায়। একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইকবাল মিয়া উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উস্তেগেরগাঁও গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। 

 

জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ জুন দোয়ারাবাজার উপজেলা  বাংলাবাজার ইউনিয়নের কিরনপাড়া গ্রামস্থ ভোলাখালি নদীর দক্ষিণ পাশের জঙ্গলে মনোয়ারা বেগম নামের এক গৃহবধূক খুন করে মরদেহ ফেলে দেয় কে বা কারা। এই ঘটনায় নিহতের মা আমেনা খাতুন বাদী হয়ে ১৭ জুন দোয়ারাবাজার থানায় একটি অজ্ঞাতনামা মামলা করেন। মামলা দায়ের পর ছায়া তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে হত্যাকান্ডের সাথে স্বামী ইকবাল মিয়ার সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। 

 

পুলিশের তদন্তে জানা যায়, ঘটনার  চার বছর আগে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের করিনপাড়া গ্রামের ময়না মিয়ার মেয়ে মনোয়ারা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন একই ইউনিয়নের উস্তেগেরগাঁও গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ইকবাল মিয়ার। বিয়ের পর থেকে দাম্পত্য জীবন ভালো চললেও কোনো এক ঘটনায় জেলে যেতে হয় স্বামী ইকবাল মিয়াকে। 

 

জেল থেকে বের হয়ে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের সাথে দ্বন্দ্ব বাঁধে ইকবালের। স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে পরকীয়া সন্দেহে শ্বশুর বাড়ি এলাকার ভোলাখালি নদীর দক্ষিণ জঙ্গলে নিয়ে হত্যা করে গা ঢাকা দেন ঘাতক স্বামী ইকবাল। এই ঘটনায়  ইকবালকে আসামি করে ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বরে আদালতে  চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আল মামুন।

 

দীর্ঘদিন এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে  বৃহস্পতিবার ৩০২ ধারা মোতাবেক দোষী সাব‍্যস্ত হলে ইকবাল মিয়ার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আজীবন (আমৃত্যু) কারাদণ্ড সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেন বিজ্ঞ বিচারক। 

 

এই রায়ে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী  এপিপি সুহেল আহমদ ছইল বলেন, এই রায়ে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে রায়ে অসন্তুষ জানিয়ে উচ্চ আদালতের আপিল করার কথা জানিয়েছেন   বিবাদী পক্ষের আইনজীবী  রমজান আলী।

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম /শহীদনূর/ নাজাত