আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটে অংশ নেয়ায় আরও ৪ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এর মধ্যে সিলেট বিভাগের তিনজন।

 


 


মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

 

   
এতে বলা হয়, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাজিরুল ইসলাম আজহার, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ এবং যুবদলের সদস্য সাইফুর রহমানকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই কারণে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির সহ সভাপতি মোছা. সাবিরা বেগমকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।

 

 


এর আগে গত ২৬ এপ্রিল ভোট বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় সারা দেশে ৭৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এর মধ্যে  সিলেট বিভাগের ৯ নেতা ছিলেন। 

 

 


প্রথম ধাপে সিলেট জেলায় বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেবুল মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রব, বিশ্বনাথ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ কাওছার খান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক স্বপ্না বেগম।
 

 

 

অপরদিকে, সিলেট বিভাগের বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত অপর চারজন হলেন- জেলার দিরাই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি গণেন্দ্র চন্দ্র দাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি ও দিরাই উপজেলা বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ছবি চৌধুরী এবং মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রাহেলা বেগম। 

 

 

দল থেকে বহিষ্কৃত নেতাদের বিষয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানান, দলের ত্যাগী নেতা–কর্মীদের বহিষ্কার করার তাঁদের কোনো ইচ্ছা ছিল না। দল থেকে বার বার দেশ, জাতি এবং নেতা–কর্মীদের জানানো হচ্ছিল, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীন কেউ যাতে নির্বাচনে অংশ না নেন। কিন্তু যাঁরা এ ফাঁদে পা দিয়েছেন, মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত দলের নেতা–কর্মীদের বলা হয়েছিল যাতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। যাঁরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাঁদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন তাঁদের সঙ্গে আর দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম