বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে সিলেট বিভাগের ১১টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টায়। প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, কিছু জায়গায় অনিয়ম, জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 


ভোট হওয়া ১১টি উপজেলা হলো- সিলেট জেলার সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ, সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা, মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা এবং হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ ও বানিয়াচং।

 

সিলেটের জেলার সদর উপজেলায় বেশ কিছু কেন্দ্রে জাল ভোট, প্রার্থীর এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাঁধা প্রদানের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের দলদলি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুপুরে একঘন্টা ভোট গ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। ঐ কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলে ভোট  বর্জনের ঘোষণা দেন চা শ্রমিকরা।

 

এরআগে ১ কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী  জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক। আর টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।

 

গোলাপগঞ্জ উপজেলার খায়েস্তগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা আড়াইটার দিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিশ্বনাথ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় অপ্রীতিকর কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

 

সকাল ১০টার দিকে সিলেটের কিছু কিছু জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির খবর যায়। প্রতিকূল আবহাওয়াতেও কয়েকটি কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিলো। বিশেষ করে নারী ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে বেশীরভাগ কেন্দ্রই ছিলো ভোটার শূন্য। 

 

বেলা ২টার দিকে সিলেটের ৪ উপজেলা ৪ ঘণ্টায় ১৮ শতাংশেরও কিছু বেশি ভোট পড়েছে বলে জানান  সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন,  দুপুর ১২টা পর্যন্ত  সিলেটের ৪ উপজেলায় গড়ে ভোট পড়েছে ১৮ শতাংশের একটু বেশি।

 

সিলেটের চার উপজেলার ৩০২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৭৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ধরে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করে  সিলেট জেলা ও মহানগর পুলিশ। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ছয় হাজারের বেশি পুলিশ ও আসনার সদস্য মোতায়েন করা হয়।

 

ভোটে আড়াই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য, সাড়ে তিন হাজারের বেশি আনসার সদস্য ও চারজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকেন। এর বাইরে বিজিবি ও এপিবিএন সদস্যরাও মাঠে থাকেন।

 

সিলেট বিভাগের চারটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা আট লাখ ১৪ হাজার ৫২ এবং ভোটকেন্দ্র ৩০২টি। এর মধ্যে ২২টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / মাহি