আগামী ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালাতে পারে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আফগান শাখা আইএস-খোরাসান (আইএস-কে)। কংগ্রেসকে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এমনটাই জানান পেন্টাগনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কলিন কাহল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তায় আফগানিস্তান যে এখনও হুমকি, তা কাহলের ওই মন্তব্য ফের মনে করিয়ে দিল।


চলতি বছরের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধের ইতি টানে যুক্তরাষ্ট্র।

১৫ আগস্ট কাবুল পতনের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। আন্তর্জাতিক সহায়তা ও স্বীকৃতি পেতে ক্ষমতা দখলের পর দুই মাসের বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গোষ্ঠীটি। একই সঙ্গে দেশজুড়ে স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিরও অঙ্গীকার করে তারা।

তবে আফগানিস্তানজুড়ে আইএস-কের সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি হামলা তালেবানকে উদ্বেগে ফেলেছে। মূলত দেশটির সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায় আইএস-কের হামলার লক্ষ্য।

১৫ অক্টোবর জুমার নামাজের সময় আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরে এক শিয়া মসজিদে আইএস-কের বোমা হামলায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ৮ অক্টোবর দেশটির কুন্দুজ শহরে আরেক শিয়া মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় আইএস-কে। ওই ঘটনায় অন্তত ৫০ মুসল্লির মৃত্যু ঘটে।

এমনকি আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় জালালাবাদ শহরে সম্প্রতি তালেবানের এক সদস্যকে শিরশ্ছেদও করে আইএস-কের যোদ্ধারা।

কাহল জানান, আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার পর তালেবান কার্যকরভাবে আইএস-কের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষম কি না, এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের মূল্যায়ন, তালেবান ও আইএস-কে পরস্পরের শত্রু। আইএস-কে নির্মূলের চেষ্টা করবে তালেবান। তবে তারা সেটি করতে সফল হবে কি না, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।’

আফগানিস্তানে আইএস-কের কয়েক হাজার যোদ্ধা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার ওই কর্মকর্তা।

আফগানিস্তানে আইএস-কের হামলার বিষয়ে সম্প্রতি দেশটির ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি জানান, আইএস-কে যোদ্ধাদের হুমকি মোকাবিলা করা হবে। অন্য দেশে হামলা চালাতে আফগানিস্তান কোনো সশস্ত্র সংগঠনের ঘাঁটিতে পরিণত হবে না।

কাহল আরও জানান, তালেবানের সঙ্গে আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠতা পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে। আগামী এক বা দুই বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করবে আল-কায়েদা।

আফগানিস্তানে কোনো সেনা না থাকায় আইএস-কে ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এ মুহূর্তে কঠিন বলে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা সম্প্রতি সতর্ক করেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে


সূত্র : নিউজবাংলা