পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের তালিকায় রয়েছে সিলেটের কানাইঘাট। সোমবার উপজেলার ৯ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষনা করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে তৃণমূলের ভোটে বিজয়ীকে বাদ দিয়ে কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে অন্য প্রার্থীর নাম। দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিলাল আহমদ। তিনি একটি হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামী।


তৃণমূলের মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করে হত্যা মামলার আসামীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে মারাত্মক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চুড়ান্ত করার লক্ষ্যে কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত তৃণমূলের ভোটে রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলী আকবর চৌধুরী কোহিনুর পান ১৩ ভোট। আর অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিলাল আহমদ পান ৭ ভোট। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রে পাঠানো তালিকার প্রথমে ছিল আলী আকবরের নাম। কিন্তু গতকাল সোমবার কেন্দ্র থেকে ঘোষিত তালিকায় দেখা গেছে আলী আকবরকে বাদ দিয়ে বিলালকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বিলাল আহমদ কানাইঘাটের বাবুর্চি জামাল আহমদ হত্যা মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামী। এছাড়া তার বাবা সিকন্দর আলী ওরফে ছইল মিয়া কানাইঘাটের চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামী ছিলেন। অপর আরেকটি হত্যা মামলায় বিলালের এক ভাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
তৃণমূলের ভোটে বিজয়ী প্রার্থীকে বাদ দিয়ে হত্যা মামলার চার্জশিটভ’ক্ত আসামীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রার্থী পরিবর্তন প্রসঙ্গে জানতে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম