সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় বন্ধুদের ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হন মিসবাহ উদ্দিন তাহার (২১) এক যুবক। পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০১৬ সালের ২৬ নভেম্বর পরিকল্পিতভাবে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত তাহার মা নাজমা বেগম বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। আলোচিত এই হত্যা মামলায় দুই আসামি জামিনে থাকলেও, ঘটনার মূল হোতা কবির এখনো সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে। অবশেষে ৫ বছর পর বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করার কথা ছিলো সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালতের বিচারক শাহরিয়ার কবীর আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

বিষয়টি সিলেটভিউকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মিসবাহ উদ্দিন তাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিলো। রায়ের ব্যাপরে আদালত প্রস্তুত না থাকায় পূনরায় রায় ঘোষণারি দিন ধার্য করেছেন বিচারক। আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিচারক।


সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট সারোয়ার আবদাল সিলেটভিউকে জানান, আজ বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) মামলার রায় ঘোষণা দিন ধার্য থাকলেও আদালত পূনরায় রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন। আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) আদালত তাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করবেন। এ ঘটনার মূল আসামি কারাগারে রয়েছে, বাকিরা জামিনে বাইরে। তবে, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আমি আশাবাদী।

আদালত সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা জার্মানী প্রবাসী রহমত উল্লাহর একমাত্র ছেলে মিসবাহ উদ্দিন মিসবাহ তার মা ও দুই বোনের সঙ্গে সিলেট নগরীর মজুমদারী কোনাপাড়া এলাকার একটি বাসায় বসবাস করতেন। তিনি সিলেট কমার্স কলেজ থেকে ২০১৫ সালে এইচএসসি পাস করে সে বছর পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স না পাওয়ায় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মিসবাহ। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১৬ সালের ২৬ নভেম্বর নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় তাহাকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন তার বন্ধু কবির আহমদ, রুমেল, রানাসহ আরও কয়েকজন।

এ ঘটনার পরদিন মিসবাহ'র মা নাজমা বেগম বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা (নম্বর-৩০) দায়ের করেন। ওই বছর ৮ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থেকে মূল আসামি কবির আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন ৯ ডিসেম্বর বন্দরবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয় কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া আরও দুই যুবক রুমেল ও রানাকে। তিনজনই দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা। ২০১৭ সালর ২০ এপ্রিল ঘাতক কবির, রুমেল ও রানার নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার তৎকালীন এসআই মো. ফয়েজ উদ্দিন ফায়াজ। ঘটনায় জড়িত রাব্বির নাম ঠিকানা খুঁজে না পাওয়ায় তার নাম মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/পিটি-১৭