বহুল প্রতিক্ষিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল নির্বাচনে রোশনারা আলী এমপির মর্যাদাপূর্ন আসন বেথনাল গ্রীন বো এলাকার বেথনাল গ্রীন ইস্ট ওয়ার্ড থেকে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছেন কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট রেবেকা সুলতানা। এই ওয়ার্ডে প্রথম কোন ব্রিটিশ বাংলাদেশী নারী কাউন্সিলর হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন।

রেবেকা সুলতানা ব্রিটেনের পরিচিতজন সাংবাদিক ও লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য আহাদ চৌধুরী বাবুর সহধর্মিনী ও তিন সন্তানের জননী। তিনি যুক্তরাজ্যের মুলধারার রাজনৈতিক সংগঠন লেবার পার্টির সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত রয়েছেন।


পেশায় স্কুল শিক্ষিকা রেবেকা সুলতানা টাওয়ার হ্যামলেটের স্কুল গভর্নর হিসেবে অনেক দিন ধরে কাজ করেছেন।

তার দুই ছেলে বিলেতের বিখ্যাত কুইন ম্যারী ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়রত। আর আরেক ছেলে হামিম চৌধুরী লেবার পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত।

রেবেকার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বাউধরন গ্রামে। পিতা  শিক্ষানুরাগী মোবারক মিয়ার বড় মেয়ে তিনি। তার শ্বশুর ছিলেন সিলেট নগরীর চৌকিদেখি এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবীদ আলাউদ্দিন চৌধুরী। আলাউদ্দিন চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগে।

কাউন্সিলার রেবেকা সুলতানা সিলেট সিটি করপোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, সাবেক জনপ্রতিনিধি মরহুম সোয়েব চৌধুরী ও সিলেটে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি ফেরদৌস চৌধুরী রুহেলের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী। রেবেকা সুলতানা উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষকতা পেশায়  জড়িত হন ।

জয় লাভের পর রেবেকা সুলতানা তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যরা দেশে বিদেশে মানুষের কল্যানে কাজ করছেন। তাদেরকে দেখেই ব্রিটেনে আমার রাজনীতিতে পদার্পন। বিশেষ করে আমার ও আমার স্বামী আহাদ চৌধুরী বাবুর প্রতি মানুষের কমিটমেন্ট ও উৎসাহ দেখে নির্বাচনে আগ্রহী হই। ভোটাররা তাদের ভালোবাসা ও সমর্থন দিয়ে আমাকে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। আমি আমার ওয়ার্ডের তথা টাওয়ার হ্যামলেটসের জনগণের কল্যানে কাজ করতে চাই। কাজের মাধ্যমে তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ প্রেবি/ শাদিআচৌ-০৪