লিওনেল মেসি তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে জিতেছেন অনেক শিরোপা, পায়ের জাদুতে সম্মোহিত করেছেন গোটা ফুটবল বিশ্বকে। তাতে সর্বকালের সেরাদের সংক্ষিপ্ত তালিকার একজনই ধরা হয় তাকে। তবে এককভাবে তিনিই ‘সর্বকালের সেরা’ কি না, সে প্রশ্নের উত্তরটা বেশ তর্কসাপেক্ষ। 


লিওনেল মেসির সাবেক সতীর্থ জেরার্ড পিকের কাছে অবশ্য বিষয়টা জলবৎ তরলং, মেসিই তার কাছে সর্বকালের সেরা। 



এমন একজন সতীর্থ যখন তার দল ছাড়েন তখন আবেগ ধরে রাখতে পারেননি, কেঁদেই ফেলেছিলেন পিকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন বার্সেলোনার এই ডিফেন্ডার।


গেল গ্রীষ্মকালীন দলবদলে অনেকটা চমক হিসেবেই এসেছিল মেসির এই দলবদল। যদিও তা ছিল লা লিগার বেধে দেওয়া নিয়মের বেড়াজালে পড়ে। স্প্যানিশ লিগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, আয়ের ৭০ শতাংশই কেবল খেলোয়াড়দের বেতনের পেছনে খরচ করা যাবে। লিওনেল মেসিকে দলে রাখলে যা পেরিয়ে যেত শতভাগেরও বেশি। সে কারণেই গেল বছর আগস্টে আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে নতুন চুক্তিতে বেধে রাখতে পারেনি বার্সা। সংবাদ সম্মেলনে অশ্রুসজল চোখে বিদায় জানান কৈশোর-তারুণ্যের ক্লাবকে।


মেসি তো জনসম্মুখেই কেঁদেছিলেন, তার কান্না জড়ানো বিদায় ছুঁয়ে গিয়েছিল তার সদ্য সাবেক সতীর্থ পিকেকেও। সম্প্রতি গ্যারি নেভিলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘মেসি যখন বার্সেলোনা ছেড়ে গিয়েছিল, আমি কেঁদেই দিয়েছিলাম। সে বার্সেলোনায় যে ক্যারিয়ারটা কাটিয়েছে, তাতে সে ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত এখানে থেকে গেলেই ভালো হতো। বার্সেলোনার জন্য, এখানকার ভক্তদের জন্য মেসি ছিল ঈশ্বরের মতো, সে এখানে থেকে গেলে বেশ ভালো হতো।’


তবে যে কারণে মেসিকে রেখে দেওয়া সম্ভব হয়নি, সে কারণটা বোঝেন পিকে। তাই বললেন, ‘মেসিকে কেন নতুন চুক্তি দেওয়া যায়নি, সেটা আমি বুঝি। আগের সভাপতি কারণে, সে যেভাবে ক্লাব চালিয়েছে, তাতে অর্থনৈতিকভাবে বার্সা ভুগছিল বেশ। দিনশেষে জীবনে এমন ঘটেই থাকে। কখনো আপনি সিদ্ধান্ত নেন, তবে তা ঠিকঠাক কাজ করে না।’


এরপরই পিকে জানান, তার চোখে মেসিই সর্বকালের সেরা। তিনি বলেন, ‘লিওনেল মেসি ফুটবল ইতিহাসেরই সেরা খেলোয়াড়। বার্সেলোনার সেরা খেলোয়াড় ছিল মেসি। আমি সবসময়ই বলেছি, মেসির কারণে আমরা শিরোপা জিতেছি। তবে আমাদের একটা ভালো দলও ছিল, একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে শিরোপা জেতা সম্ভব নয়।’


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-২৪


সূত্র : ঢাকাপোষ্ট