সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) মাছের পরজীবীবিদ্যা (ফিশ প্যারাসাইটোলজি) বিষয়ক গবেষণা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


শনিবার (১৪ মে) বিকাল সাড়ে ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। 



সিকৃবি’র মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ও বাংলাদেশ প্যারাসাইট রিসোর্স ব্যাংকের যৌথ আয়োজনে অতিথি বক্তা হিসেবে আন্তর্জাতিক প্যারাসাইট রিসোর্স ব্যাংকের ভাইস ডিরেক্টর কোরিয়ান অধ্যাপক ড. ডংমিন লি ও কোরিয়ার চুংবুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ইয়েসিউল কাং। 


প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তিলক চন্দ্র নাথের সঞ্চালনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড। 


এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মৎস্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক ড. এম. এম. মাহবুব আলম। কর্মশালাটিতে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও মৎস্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। 


কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ‘মাছের পরজীবী নিয়ে আগে গবেষণার কাজ তেমন হয়নি। কিন্তু বর্তমান সময়ে সারাবিশ্বে বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এই সংক্রান্ত গবেষণা শুরু করেছেন। এই কর্মশালার মধ্য দিয়ে কোরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে মাছের পরজীবী সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে’।


অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, ‘এই কর্মশালা ও গবেষণা কার্যক্রম মাছের বিভিন্ন পরজীবী শনাক্ত ও আবিষ্কার করতে অনেকগুলো দ্ব্যর্থতার নিরসন ঘটাবে। কুঁচিয়া, গুছি বাইম, তারা বাইম, কানি পাবদা সহ বিভিন্ন মাছ পরজীবী সংগ্রহ ও শনাক্তের জন্য ইতিমধ্যে গবেষণাগারে আনা হয়েছে। 

 

অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদানের মধ্য দিয়ে আগামী ২১ মে এই কর্মশালা শেষ হবে’।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-২৮