সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ক্ষুদে লেখক ও সাহিত্যিকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য সাহিত্যমেলায় আলাদা সেশন বরাদ্দ রাখতে হবে। আগামী একুশে বইমেলার আগে সব জেলায় সাহিত্যমেলার আয়োজন করা হবে।

গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলা একাডেমি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী (২-৩ জুলাই) ‘জেলা সাহিত্যমেলা, ২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।


ক্ষুদে সাহিত্যিক ও শিক্ষার্থীদের সাহিত্যমেলায় সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাহিত্যচর্চায় তাদের মধ্য থেকে আগামী দিনের লেখক, কবি-সাহিত্যিক বের হয়ে আসবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজনীতির তীর্থস্থান ও পুণ্যভূমি খ্যাত গোপালগঞ্জ সাহিত্যের নানা উপকরণে সমৃদ্ধ একটি জনপদ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি এ জনপদ।

তিনি বলেন, আগামী অমর একুশে বইমেলার আগে দেশের ৬৪টি জেলায় জেলা সাহিত্যমেলার আয়োজন শেষ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জেলা পর্যায়ের সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

কেএম খালিদ আরও বলেন, লেখালেখি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে এমন লেখকের সংখ্যা হাতেগোনা। প্রাণের খোরাক জোগাতেই বেশিরভাগ মানুষ লিখে থাকেন। ১৯৪৭ সালের দেশভাগ ও পরবর্তীতে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বাংলা ভাষা ও সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে