ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে গত ২৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় আইসিসির সর্বশেষ সভা। সেখান থেকে আজ রোববার (৩১ জুলাই) বিকেলে বেশ চওড়া হাসি নিয়ে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেই সভায় চূড়ান্ত হয়েছে ২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব বাংলাদেশের। নিঃসন্দেহে এটি পাপনের বোর্ডের বড় অর্জন। সেই অর্জন আরো বেশি রাঙাতে নারী দলকে ঢেলে সাজানোর ভাবনা বোর্ড সভাপতির।

 


ঢাকায় পা দিয়ে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমকে পাপন বলছিলেন, ‘বাংলাদেশ (২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে) চূড়ান্ত হয়েছে, এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, আমাদের মেয়েরা নিজেরা নিজেরাই ভালো করছে। আসলে আমরাতো তাদেরকে তেমন কিছু করতে পারিনি। একটা সময় তাদেরকে বাইরে থেকে কোচ দিয়েছিলাম। এশিয়া কাপে যেবার চ্যাম্পিয়ন হল, সেবার কিন্তু পুরো কোচিং স্টাফ ছিল। তবে এখন কোচিং স্টাফও নেই।’

 

আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েই ইংল্যান্ড থেকে নারী খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেছেন পাপন, ‘আমি বার্মিংহাম থেকেই ফোন করি। তৌহিদকে (নারী বিভাগের ম্যানেজার) ফোন করি। সামলা, রুমানা ও কয়েকটা খেলোয়াড়ের সাথে কথা বলি। আমি কয়েকজনকে ফোন করি যে কী কী লাগবে, আমি আসছি রেডি কর। আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই। এটা একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। বিশ্বকাপে যে দলগুলো কয়েকটা দল খুবই শক্তিশালী, চিন্তার বাইরে। উদাহরণ হিসেবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া অবিশ্বাস্য।’

 

প্রায় দেড় বছর ধরে নারী দলে নেই কোনো বিদেশী কোচ। আসন্ন ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ সামনে রেখে কোচিং স্টাফ ঢেলে সাজাতে চায় বিসিবি, সাথে ভালো করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব কিছুই করতে চায়। যাতে বড় দলগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা পূর্ণ উপহার দিতে পারেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটাররা।

 

পাপন বলেন, ‘অন্য যারা আছে তারাও খুব ভালো লড়াই করছে। এদিকে ভারত পাকিস্তনাতো শক্তিশালী আছেই, ধারাবাহিক খেলার মধ্যেও আছে। আমাদের মেয়েদের পরিকল্পনা নিয়ে বসতে হবে। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ হচ্ছে আমাদের মেয়েরা যেন ভালো ফাইট দিতে পারে। হার জিত নিয়ে আমি চিন্তিত না, যেন ভালো একটা ফাইট দিতে পারে সেটা আমাদের দেখতে হবে।'

 

এদিকে এখনো নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়া পূর্বাচলের শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল আয়োজন করার ইচ্ছে পাপনের। যদিও কাজটা সহজ হবে বলে মনে করেন না বোর্ড সভাপতি নিজে।

 

পাপনের ভাষায়, ‘সাথে আরেকটা জিনিস ইচ্ছে, যদিও সেটা হবে না। হবে না আমি জানি। তারপরেও আমি বলছি চেষ্টা করবো। স্টেডিয়াম যেটা আছে পূর্বাচলে ওটার কাজ যদি শেষ করতে পারি...যেহেতু আমাদের সবকিছুই শেষ, এখন শুধু নাম (নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান) ঘোষণার বাকি। এরপর তারা যত তাড়াতাড়ি করতে পারবে তাহলে ভালো হয়, ওটার মধ্যে যদি আমরা খেলাই ফাইনালটা খুব ভালো হয়। সুতরাং এই টার্গেটটা নিয়েই নামবো, না হলে বিকল্প তো আছেই।’

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/মাহি


সূত্র : ঢাকাপোস্ট