সিলেটে যুবদলের নেতা-কর্মীদের দীর্ঘ দুই দশকের অপেক্ষা শেষ হচ্ছে আর ক’দিন পরেই। জেলা ও মহানগর যুবদলে সম্মেলনের মাধ্যমে আসবে নতুন নেতৃত্ব। শীর্ষ তিন পদে নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখন ব্যাপক কৌতুহল। বিশেষ করে পদপ্রত্যাশী নেতাদের তোড়জোড়ে সম্মেলনে এনে দিয়েছে উৎসবের আবহ। আর এই পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে এবার ‘নতুন মুখ’ই বেশি আলোচনায়, যাঁদের মধ্য থেকেই নির্বাচিত হবেন ‘যোগ্য’রা। তবে নতুনদের মধ্যে অনেকেই কেন্দ্রীয় যুবদলের ঠিক করে দেওয়া ক্রাইটেরিয়া অনুসারে বাদ পড়ে যাচ্ছেন।

যুবদল সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর জেলা যুবদল এবং ১১ সেপ্টেম্বর মহানগর যুবদলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় যুবদল নেতারা উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে উভয় শাখা মিলিয়ে আট শতাধিক কাউন্সিলর ভোট প্রদান করবেন।


সংগঠনটির দায়িত্বশীলরা জানান, ২০০০ সালের পর এই প্রথমবার সিলেট জেলা যুবদলের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর এ শাখায় ২৯ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি দেয় কেন্দ্র। সেই আহ্বায়ক কমিটিই আড়াই বছরেরও বেশি সময় পর এবার সম্মেলনের আয়োজন করেছে। অন্যদিকে, সিলেট যখন পৌরসভা ছিল, তখন শহর যুবদল নামে কমিটি ছিল। সিলেট সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর মহানগর যুবদলের কোনো কমিটিই হয়নি। ওই ১ নভেম্বর মহানগর যুবদলে ২৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। এবারই প্রথমবার মহানগর যুবদল পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেতে যাচ্ছে।

যে কারণে নেতৃত্বে আসবেন নতুনরা>>
যুবদলের বিভিন্ন স্তরের অন্তত দেড় ডজন নেতা ও কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছে সিলেটভিউ। তাঁদের বক্তব্য থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, এবারের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সিলেট জেলা ও যুবদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সম্পূর্ণ নতুন মুখের দেখা মিলতে পারে।

এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, সিলেটে প্রায় ১৯ বছর নতুন কোনো কমিটি পায়নি যুবদল। যাঁরা আগে যুবদলের পদ-পদবীতে ছিলেন, তাঁরা মূল দল বিএনপির রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকেই বিএনপির পদ-পদবী পেয়েছেন। ফলে যুবদলের পুরনো নেতাদের এবার সম্মেলনে আর প্রার্থী হতে দেখা যাবে না। জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক নজিবুর রহমান নজিব আর যুবদলে থাকছেন না বলে সিলেটভিউকে নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে, আগে যাঁরা যুবদলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের কর্মীরা এখন যুবদলের শীর্ষ পদে আসতে আগ্রহী। ফলে পুরনো নেতাদের কারো মধ্যে এখনও যুবদলে থাকার ইচ্ছা কাজ করলেও নিজেদের কর্মীদের সাথে প্রার্থীতায় নামার ইচ্ছা তাঁদের নেই।

এর বাইরে ‘কেন্দ্রীয় কারণও’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন যুবদল নেতা-কর্মীরা। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজপথে আন্দোলনের বিষয়টি বিবেচনা করে সিলেটে যুবদলের নেতৃত্বে অপেক্ষাকৃত তরুণদের পদায়ন হোক, এমনটাই চায় কেন্দ্রীয় যুবদল। সবমিলিয়ে এবার জেলা-মহানগর যুবদলে দেখা মিলবে নতুন মুখের নতুন নেতৃত্ব।

জেলা যুবদলে শীর্ষ তিন পদে যাঁরা আলোচনায়>>
সিলেট জেলা যুবদলে সভাপতি পদে ঘুরপাক খাচ্ছে পাঁচজনের নাম। এঁরা হলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ, জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আক্তার আহমদ, আশরাফ উদ্দিন ফরহাদ ও সাহেদ আহমদ চমন। তন্মধ্যে সাংগঠনিক দক্ষতায় অনেকেই সাঈদ আহমদকে এগিয়ে রাখছেন নেতৃত্বের দৌড়ে।

এঁদের বাইরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুবুল হক চৌধুরী সভাপতি পদে প্রার্থী হতে আগ্রহী ছিলেন। গত পরশু তিনি সিলেটভিউকে বলেছিলেন, ‘যুবদলের নেতৃত্বে  কারা আসতে পারবেন, সে বিষয়ে যে ক্রাইটেরিয়া আছে, তা এখনও পাইনি। তবে যুবদলের নেতা-কর্মীরা আমাকে সভাপতি পদে প্রার্থী হতে অনুরোধ জানাচ্ছেন। সবকিছু বিবেচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’

গতকাল ঘোষিত ক্রাইটেরিয়া অনুসারে যুবদলের সাথে তিন বছর সম্পৃক্ত না থাকায় মাহবুববুল হক প্রার্থী হতে পারছেন না।

সাবেক ছাত্রনেতা, বর্তমানে যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ সিলেটভিউকে বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি করে আমরা ওঠে এসেছি। সিলেটে ছাত্রদলকে সুসংহত করতে কাজ করেছি, আমার সময়ে প্রতিটি ইউনিটে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি দিয়েছি। এখন যুবকদের সংগঠিত করে বর্তমান স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র যুব আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই। বিএনপি পরিবারের যে রাজনীতি, তা আরও গতিশীল করে বর্তমান সরকারকে হটাতে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলতে রাজপথে সিলেট যুবদলকে সক্রিয় করতে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি।’

তিনি বলেন, ‘অতীতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে আমি সামনের সারিতে থেকেছি। এক ডজনেরও বেশি মামলা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে। সামনে আরেকটি জাতীয় নির্বাচন, আন্দোলনের চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে স্বৈরাচার সরকারকে হটাতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে আগ্রহীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা যুবদলের সদস্যসচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মকসুদ আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি লিটন আহমদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান নেছার ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অলি চৌধুরী। শেষোক্ত তিনজনই জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এই তালিকার মধ্যে মকসুদের পাশাপাশি নেছারের নাম কাউন্সিলরদের মধ্যে বেশি ঘুরপাক খাচ্ছে বলে জানা গেছে।

জেলা যুবদলের সদস্যসচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মকসুদ আহমদ সিলেটভিউকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতি করে যুবদলের রাজনীতিতে এসেছি। ছাত্রদলে থাকাকালে দলকে শক্তিশালী করতে মাঠে তৎপর ছিলাম, এখন যুবদলেও সমানভাবে সক্রিয় রয়েছি। সিলেটে যুবদলকে আরও সুসংগঠিত করতে, বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য যুব সমাজকে প্রস্তুত করতে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হচ্ছি। গত কয়েক বছর ধরে যুবদলের রাজনীতি করতে গিয়ে নেতা-কর্মীদের ভালোবাসা পেয়েছি, সাড়া পেয়েছি। তাতে সবাইকে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি বেড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতি করতে গিয়ে আওয়ামী দুঃশাসনের হামলা, মামলার শিকার হয়েছি প্রতিনিয়ত। কিন্তু রাজপথ ছাড়িনি, সাহস হারাইনি। সেই সাহসে বলিয়ান হয়ে যুবদলকে আরও এগিয়ে নিতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।’

জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লিটন আহমদ সিলেটভিউকে বলেন, ‘ক্লাস এইট থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি করে এসেছি। ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, তারপর মদন মোহন কলেজ ছাত্রদল, পরবর্তীতে জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে এসেছি। সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। এখন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটিতে আছি। পর্যায়ক্রমে রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে বরাবরই নেতা-কর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি। এবারও তারা আমার পাশে আছেন।’

তিনি বলেন, ‘যুবদল একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন। আমরা দায়িত্ব নিয়ে যুবকদের সংগঠিত করে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই, জনমানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, দেশনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে চাই। অতীতে জেলজুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে সক্রিয় ছিলাম, এখনও আছি। আমাদের সিলেটের সিংহপুরুষ ইলিয়াস আলী সরকারের আয়নাঘরে বন্দি। যদি যুবদলের নেতৃত্বে আসার সুযোগ পাই, তবে তাঁকে মুক্ত করার যে আন্দোলন তা আরও বেগবান করবো ইন শা আল্লাহ।’

জেলা শাখায় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নাম শোনা যাচ্ছে দুজনের। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন দুদু, কানাইঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আর এ বাবলু এই পদে চোখ করেছেন। বাবলু উপজেলভিত্তিক রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি জেলাভিত্তিক রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলাভিত্তিক শক্তিশালী বলয় আছে বাবলুর। কোম্পানীগঞ্জের দুদুর ‘লিংক বেশ শক্ত’ বলে জানিয়েছেন একাধিক যুবদল নেতা।

তবে এ দুজনকেই টেক্কা দিতে মাঠে বেশ তৎপর ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মাসরুর রাসেল। কিন্তু ঘোষিত ক্রাইটেরিয়া অনুসারে তিনিও প্রার্থী হতে পারছেন না।

ছাত্রদলের পদে থাকলেও কেন যুবদলের রাজনীতিতে আসতে চান, এই প্রশ্নের জবাবে মাসরুর রাসেল গত পরশু সিলেটভিউকে বলেছিলেন, ‘সিলেট জেলা ছাত্রদলের কমিটি হয় ২০১৮ সালের জুনে। সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালে। এরপর আরও দুই বছর চলে গেছে। ছাত্রদলের ক্রাইটেরিয়া অনুসারে, এখন আমাদেরকে ছাত্রদলে থাকার বয়সও আর নাই। সরাসরি তো আর বিএনপির রাজনীতিতে চলে যেতে পারি না, নিয়মতান্ত্রিকভাবে এখন আমাকে যুবদলের রাজনীতি করতে হবে। তাই বেশ কিছুদিন ধরেই যুবদলের নেতা-কর্মীদের সাথে আমার ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রামে সবসময় সক্রিয় থেকেছি। তাই যুবদল নেতা-কর্মীরা চাইছেন আমি যেন সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হই।’

মহানগর যুবদলে শীর্ষ তিন পদে যাঁরা আলোচনায়>>
মহানগর যুবদলের সভাপতি পদে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব শাহনেওয়াজ বখত তারেক, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন মানিক ও তোফাজ্জল হোসেন বেলাল প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত সাদেকের ভাই শাহনেওয়াজ বখত তারেক। তিনি খানিকটা এগিয়ে থাকলেও এ পদে কঠিন লড়াইয়ের আভাস মিলেছে।

মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব শাহনেওয়াজ বখত তারেক সিলেটভিউকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতিতে কাজ করছি, এখন সদস্যসচিব। যুবদলের পেছনে প্রায় তিন বছরের শ্রম আছে। সিলেটে যুবদলকে আরও সংগঠিত করতে, আরও সুন্দর পরিবেশ করার আশা নিয়ে প্রার্থী হচ্ছি। নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছি।’

সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে আগ্রহী সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমানে যুবদল নেতা কয়েস আহমদ, উমেদুর রহমান উমেদ, এমদাদুল হক স্বপন ও মীর্জা সম্রাট।

কয়েস আহমদ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তবে মহানগর যুবদলেই তিনি বেশি সক্রিয় ছিলেন বলে জানা গেছে।

কয়েস আহমদ সিলেটভিউকে বলেন, ‘আমি গত প্রায় তিন বছর জেলা ও মহানগর যুবদলে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছি। আমার জানামতে, কোনো মিছিল বা কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকিনি। মহানগরে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতে পরিশ্রম করেছি। ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের সাথে সবসময় যোগাযোগ ছিল। তাঁরাও প্রার্থী হতে আমাকে উৎসাহিত করেছেন।’

এদিকে, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তিনজনের নামে গুঞ্জন ছিল। এঁরা হলেন- সাবেক ছাত্রনেতা জুবের আহমদ, যুবদল নেতা খান মোহাম্মদ সাইফুর ও মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি তানভীর আহমদ চৌধুরী। তন্মধ্যে ক্রাইটেরিয়ার কারণে তানভীর বাদ পড়ছেন প্রার্থী হওয়া থেকে।

ক্রাইটেরিয়ায় যা আছে>>
সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের সম্মেলনে এবার যে কেউ চাইলেই শীর্ষ তিনটি পদে প্রার্থী হতে পারছেন না। এজন্য রয়েছে ক্রাইটেরিয়া (মানদণ্ড)। অর্থাৎ, কে প্রার্থী হতে পারবেন না পারবেন, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা প্রভৃতি বিষয় ঠিক করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবদল। আর তা গতকাল প্রকাশ করেছে জেলা-মহানগর যুবদল।

ক্রাইটেরিয়া অনুসারে, প্রার্থী হতে হলে সংশ্লিষ্ট শাখার কাউন্সিলর এবং যুবদলের রাজনীতিতে তিন বছর সক্রিয় থাকার প্রমাণ থাকতে হবে।

এই ধারার কারণে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ বাদ পড়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে ছাত্রদলের যেসব নেতা প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন, তাঁরাই মূলত বাদ পড়ার তালিকায় থাকছেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে

আরও পড়ুন: সিলেট যুবদলের সম্মেলন: অপূর্ণাঙ্গ ইউনিট, কাউন্সিলর আট শতাধিক