জাতিসংঘের হিসাবে এ বছরের মাঝামাঝি চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ হওয়ার কথা ভারতের। কিন্তু কিছু বিশ্লেষকের ধারণা, সেই ঘটনা এরই মধ্যে ঘটে গেছে। অর্থাৎ, ভারত এরই মধ্যে জনসংখ্যার বিচারে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস) জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় আট লাখ কমে ১৪১ কোটি ২০ লাখে দাঁড়িয়েছে। ১৯৬১ সালের পর এই প্রথমবার চীনের জনসংখ্যা কমলো।
বিপরীতে, আদমশুমারি ও জনসংখ্যা বিষয়ক স্বাধীন সংস্থা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ (ডব্লিউপিআর)-এর ধারণা, ২০২২ সালের শেষেই ভারতের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ৭০ লাখ পেরিয়েছিল, যা চীনের চেয়ে অন্তত ৫০ লাখ বেশি। আর জানুয়ারি মাসের ১৮ তারিখে এসে ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৩০ লাখ ছুঁয়েছে বলে মনে করছে ডব্লিউপিআর।
ম্যাক্রোট্রেন্ডস নামে আরেকটি গবেষণা প্ল্যাটফর্ম বলছে, তাদের ধারণামতে ভারতের সবশেষ জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮০ লাখ হয়েছে।
সাধারণত ১০ বছর পরপর আদমশুমারির তথ্য প্রকাশ করে ভারত। কিন্তু মহামারির অজুহাতে ২০২১ সালের আদমশুমারি পিছিয়ে দিয়েছিল তারা। এর ফলাফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হতে চলেছে ভারত৷ দেশটির অর্ধেক মানুষের বয়সই ৩০ বছরের কম। ফলে জনসংখ্যার সর্বোচ্চ ফায়দা পেতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রতি বছর শ্রমশক্তিতে প্রবেশ করা লাখ লাখ লোকের জন্য বাড়তি চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। এছাড়া দেশটি ক্রমেই কৃষিনির্ভরতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ নাজাত-০৫
সূত্র : জাগো নিউজ