ছবি : পল্লব ভট্টাচার্য্য

সিলেট সিটি কর্পোরেশণের (সিসিক) সমানে বেশ নান্দনিকভাবে তৈরি করা হয়েছিলো একটি ফটক। সিটি কর্পোরেশনের নাম ও লগোসম্বলিত ফটকটি সিসিকের মূল প্রবেশপথ হিসেবেই তৈরি করা হয়। কিন্তু লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মাণের পর প্রায় দশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়নি ফটকটি। 

বছরের পর বছর ধরে একরকম পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা মূল ফটকে পড়েছে শ্যাওলা, দেওয়ালের ফাঁকে উঠেছে পরগাছা। এর সামনটা যেন চিরস্থায়ীভাবে দখল করে নিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফটকটি যেন সিসিকের অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার স্মারক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।


তবে সিসিক কর্তৃপক্ষ বলছে- জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে না দিলেও এটি পরিত্যাক্ত নয়, হচ্ছে ব্যবহার। সিসিকের বেশিরভাগ গাড়ি এ ফটক দিয়ে চত্বরে প্রবেশ করানো হয়।

কর্তৃপক্ষ এমনটি বললেও সরেজমিনে গিয়ে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। শনিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়- ভিতর দিকে ঠিক ফটকের সামনেই কয়েকটি গাড়ি এলোপাতাড়ি করে রাখা। যেগুলো ব্যবহৃত ফটক দিয়েই প্রবেশ করানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে। আর এ ঘটনা নিত্যদিনের। সূত্র জানায়- হঠাৎ মাঝে-মধ্যে এ ফটক খোলা হয়।

এছাড়াও ফটকের দুপাশের পিলারে (খুঁটিতে) লাগানো অনেক পোস্টার-লিফলেট। যা নষ্ট করছে ফটকটির সৌন্দর্য্য। কিন্তু বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।

জানা যায়, ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন। সে সময় নগরভবনের সামনে তৈরি করা হয় সিটি কর্পোরেশনের নাম ও লগো সম্বলিত মূল ফটক। এরপর বাড়ে সিলেট নগরের আয়তন, হয় মহানগর। কিন্তু মহানগরজুড়ে উন্নয়নযজ্ঞ চালালে নিজেদের মূল ফটকটি-ই ১০ বছরে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারেনি সিসিক কর্তৃপক্ষ।

সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান রোববার (২৯ জানুয়ারি) সিলেটভিউ-কে জানান, জনসাধারণের জন্য ফটকটি খুলে না দেওয়া হলেও ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় সিসিকের কাজের ট্রাক বা মালের গাড়ি এই ফটক দিয়েই প্রবেশ করে এবং বের হয়। 

তিনি বলেন, সিসিকের ভবনের কাজ এখনো চলমান। তাই ফটকটি পুরোপুরি খুলে দেওয়া যাচ্ছে না।

খুব শীঘ্রই খুলে দেওয়া হবে এবং ফটক নিয়মিত পরিস্কার করা হয় বলে জানান তিনি।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / নাজাত / ডালিম