বল হাতে পেস তোপ দেখিয়েছিলেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। মাত্র ১৯ বল ঘুরিয়েই পেয়ে যান ৫ উইকেটের দেখা। তাতে ফরচুন বরিশালকে তার দলে বেধে ফেলে অল্প রানেই। তবে মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতেও ঘাম ঝরাতে হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। শেষ বেলায় আন্দ্রে রাসেল ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন। তাতেই ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কুমিল্লা।
 

টস হেরে ব্যাট করতে নামা বরিশাল শুরুতেই হোঁচট খায়। টপ অর্ডারদের ব্যর্থতা তাদের গ্রাস করেছিল। প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানের পাঁচজনই আউট হয়েছেন দুই অংকের রান ছোঁয়ার আগে। একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চারে নেমে হাল ধরেছিলেন। আর শেষ বেলায় করিম জানাত ও মেহেদি হাসান মিরাজ। তাতে ১৯.১ ওভারে ১২১ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় বরিশাল।


দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। তার ব্যাট থেকে আসে তিনটি চার ও একটি ছক্কা। এছাড়া করিম জানাত ৩২ ও মিরাজ ১৭ রান করেন।

কুমিল্লার হয়ে ৩.১ ওভার বল করে ২৩ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেছেন মুকিদুল ইসলাম। তার উইকেটের তালিকায় সাকিব, রিয়াদ, করিম জানাতরা। এছাড়া আন্দ্রে রাসেল, তানভির ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমানরা একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

১২২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটে খেলতে থাকে কুমিল্লা। তবে মারতে গিয়ে ব্যাটসম্যানরা আউট হয়েছেন। মোহাম্মদ রিজওয়ান, জাকের আলি অনিকরা আউট হয়েছেন শুরুতেই। একটা পর্যায়ে বরিশাল বোলাররা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটিং ঝড়ের কাছে তারা আর সেটা পেরে উঠল না। পাঁচ উইকেটের হার নিয়ে ছেড়েছে মাঠ।

কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছেন লিটন দাস। ৩৯ বল খেলা এই ব্যাটার মেরেছেন পাঁচটি চার। আর শেষদিকে ১৬ বল খেলে ৩০ রান সংগ্রহ করেন রাসেল। তার ব্যাট থেকে এসেছে তিনটি ছক্কা ও দুটি চার।

তবে বল হাতে ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেট শিকারী মুকিদুল ইসলামই শেষ পর্যন্ত জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-১০