ফাইল ছবি

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ফোনে কল দিলেই মিলছে মরণ নেশা ইয়াবা। দিনে কিংবা গভীর রাতে ফোনে কল দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়ালেই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ডেলিভারি ম্যান চাহিদা অনুযায়ী হাতে তুলে দিচ্ছে এই মরণনেশা।
 

প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে সময়ের সাথে নিষিদ্ধ এই মরণ নেশা ব্যবসায়ীরা পাল্টিয়েছে তাদের মাদক আমদানী এবং ডেলিভারি দেয়ার নিয়ম।
 


স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের অভিযানে কিছু দিন বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি পৌর শহর জুড়ে নিষিদ্ধ এই মরণ নেশা  বিক্রি হচ্ছে এক রকম খোলামেলাভাবেই।

তবে পুলিশ বলছে মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সুত্রে জানা যায়, বিগত দিনে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়ন দিয়ে আজমিরীগঞ্জে আসতো এই মরণ নেশা ইয়াবা। কিন্তু সম্প্রতি মাদক ব্যবসায়ীরা সিলেটের বিভিন্ন বর্ডার অঞ্চল থেকে তাদের নিজস্ব গাড়ির মাধ্যমে সরাসরি নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে আসছেন আজমিরীগঞ্জে। তারপর ব্যাবসায়ীরা তাদের মনোনীত খুচরা ব্যাবসায়ীদের হাতে পৌঁছে দেন এই মরণ নেশা। সেখান থেকে খুচরা বিক্রেতারা তাদের ডেলিভারি ম্যান (ইজিবাইক চালক, ছাত্র, বিভিন্ন দোকানের সাধারণ কর্মচারী)দের কাছে পৌঁছে দেন। তারপর মাদকসেবীরা মোবাইল ফোনে কল দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে দাড়ালেই ডেলিভারি ম্যানরা চাহিদা অনুযায়ী মাদক তুলে দেন তাদের হাতে।
 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এলাকা, ফিস ইন্ডাস্ট্রিজের সামনে, মাছ বাজারের নিচে সবজি সেড, আজমিরীগঞ্জ-পাহাড়পুর সড়ক,কাঁচামাল পট্টি,শরীফ নগর (নতুন বাড়ী),বাইপাস সড়ক,অস্থায়ী বাসষ্ট্যান্ড, ভাটী সমীপুরের কালভার্ট এলাকায় নিয়মিত চলে এই মাদকের ডেলিভারি। মাদক ক্রেতাদের ফোন কল দেয়ার পর পরই  ইজিবাইক কিংবা মোটরসাইকেলে অথবা সাধারণ পথচারী হিসেবে ডেলিভারি ম্যানরা মাদক তুলে দেন ক্রেতার হাতে। মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটেই কেউ কিছু বুঝার আগেই শেষ হয় লেনদেন।
 

সমাজকর্মী মাসুদ পারভেজ বলেন, মাদকের এই আগ্রাসন শীঘ্রই বন্ধ না করা হলে কিশোর, যুবকসহ নতুন প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। মাদককের ভয়াল থাবা থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজের সকলকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে।
 

আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/মিলাদ/এসডি-০৪