শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে এক ছাত্রকে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা-কর্মী মিলে র্যাগিংয়ের অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত কাজের জন্য আরও ১৫ দিন সময় বাড়ানো হয়েছে। তদন্ত কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সময় বাড়ানো হয়েছে।
বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে প্রতিবেদন সম্পূর্ণ করতে তদন্ত কমিটি ১৫ দিন সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। আবেদনের ভিত্তিতে তদন্তের সময় আরও ১৫দিন বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি শাবির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ওই বিভাগের প্রধানের কাছে র্যাগিংয়ের অভিযোগ দেন একই বিভাগের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, সিনিয়র শিক্ষার্থীরা ভুক্তভোগীসহ তার বন্ধুদের গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলে মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। সিনিয়রদের এসব কথা না শুনলে তারা হুমকি দেন এবং মারতেও তেড়ে আসেন। এ ছাড়া আরও বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ তুলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
এ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় জড়িত সিনিয়র ৫ শিক্ষার্থীকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন ব্যবসায় প্রশাসনের বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের মো. আপন মিয়া, মো. আল আমিন, মো. পাপন মিয়া, মো. রিয়াজ হোসেন ও মো. আশিক হোসেন।
জানা গেছে, বহিষ্কৃতরা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত। তারা শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের অনুসারী।
এদিকে, র্যাগিংয়ের ঘটনাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে সেই সময় সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল।
তবে রবিবার (৫ মার্চ) সাত কার্যদিবস শেষের পূর্বেই সময় বাড়ানোর আবেদন করে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদন সম্পন্ন করতে এ নিয়ে মোট ২২ দিন সময় পাচ্ছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার সাথে অনেকগুলো বিষয় জড়িত থাকায় আমরা আরো ১৫ কার্যদিবসের সময় নিয়েছি। সবকিছু ভালোভাবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং করে আমরা সুন্দর একটা প্রতিবেদন উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।’
র্যাগিংয়ের শিকার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাষ্য, ‘যেহেতু অভযোগ দেওয়া হয়েছে, তাই উপযুক্ত তদন্তের ভিত্তিতে র্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।’
সিলেটভিউ২৪ডটকম/নোমান/আরআই-কে