অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা সজীব

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে নিজের চাহিদামত বিল না পাওয়ায় উপজেলা প্রকৌশলীকে লাঞ্চিত ও উপজেলা এলজিইডির (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) এর স্টাফ মোশাররফ হোসেনকে মারধর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মমিনুর রহমান সজীবের বিরুদ্ধে।
 

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
 


যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন যুবলীগ নেতা সজীব।

এলজিইডি সুত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ আজমিরীগঞ্জ-কাকাইলছেও সড়কটি  দরপত্রের মাধ্যমে সংস্কারের কাজ পান মো. তাজউদ্দিন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। সেই প্রতিষ্টানের কাছ থেকে সাব কন্ট্রক্ট হিসেবে সংস্কারের কাজটি নেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মমিনুর রহমান সজীব। সম্প্রতি কাজটি শেষ হবার পর এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কাজের পরিমাপ করে বিল তৈরি করে দেন। কিন্তু উক্ত বিল না নিয়ে কাজের সম্পুর্ণ টাকা দাবি করেন মমিনুর রহমান সজীব। বৃহস্পতিবার দুপুরে মমিনুর রহমান সজীব উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গিয়ে বিল চাইলে প্রকৌশলী তানজির উল্যাহ সিদ্দিকী কাজের পরিমাপের বিলটি মমিনুর রহমান সজীবের হাতে দিতে চাইলে মমিনুর রহমান সজীব পুরো বিল দিতে বলেন। উপজেলা প্রকৌশলী নিয়মবহির্ভূত বিল দিতে পারবেন না বলে জানালে মমিনুর রহমান সজীব উপজেলা প্রকৌশলীকে অকথ্য ভাষায় গালি গালজ সহ শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেন। এসময় এলজিইডির জেনারেল ফেসিলিটর মোশাররফ হোসেন প্রকৌশলীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে মমিননুর রহমান সজীব মোশারফ হোসেনকে চড় থাপ্পড় মারেন এবং তার মুটোফোন ছিনিয়ে নেন।
 

পরে তাদের চিৎকার শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল ভৌমিক উনার কার্যালয় থেকে এলজিইডি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী তানজির উল্যাহ সিদ্দিকী বলেন, “তার কাজের পরিমাপ করে আমরা বিল তৈরি করে দিয়েছি। কিন্তু উনি বিল না নিয়ে পুরো টাকা দাবি করেন। আমি নিয়মবহির্ভূত বিল দিতে পারবো না বললে উনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালজ সহ লাঞ্চিত করেন। আমাকে বাঁচাতে আমার অফিসের স্টাফ মোশারফ হোসেন এগিয়ে আসলে তাকে চড় থাপ্পড় মারা সহ টেবিল ভাঙ্গচুর করেন।”
 

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রকৌশলী তানজির উল্যাহ সিদ্দিকী স্যার শারীরিকভাবে অসুস্থ্য। উনাকে লাঞ্চিত করার সময় আমি উনাকে বাঁচাতে এগিয়ে যাই তখন মমিনুর রহমান সজীব আমার মুখে চড় থাপ্পড় মারেন এবং আমার টেবিল থাপড়িয়ে ভাঙ্গেন।’
 

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মমিনুর রহমান সজীব বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল ভৌমিক বলেন, ‘শোর চিৎকার শুনে আমি এলজিইডিতে গিয়ে বিষয়টি অবগত হই এবং পরিস্থিতি শান্ত করি৷ উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে আলাপ করে পরবর্তীতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/মিলাদ/এসডি-১২